ওরা ভালো নেই

পোস্টটি দেখেছেন: 57 সুপর্ণা দে ওলটপালট হয়ে যাওয়া সময়টাকে আপাতভাবে সামলে নিয়ে যখন সামনের দিকে তাকাচ্ছি তখন বারবারই মনে হচ্ছে  এ কোন সময়ের দিকে এগিয়ে চলেছি। একজন অভিভাবক , একজন শিক্ষিকা হয়ে কেমন যেন চোখের সামনে খুব দ্রুত বদলে যাচ্ছে আমাদের চিরাচরিত শিক্ষা ব্যাবস্থার কাঠামো । বৈদিক যুগে গুরুগৃহে , মুক্ত পরিবেশে অরণ্যের সংস্পর্শে  পঠন-পাঠনের […]

অনলাইন শিক্ষা

সুপর্ণা দে

ওলটপালট হয়ে যাওয়া সময়টাকে আপাতভাবে সামলে নিয়ে যখন সামনের দিকে তাকাচ্ছি তখন বারবারই মনে হচ্ছে  এ কোন সময়ের দিকে এগিয়ে চলেছি। একজন অভিভাবক , একজন শিক্ষিকা হয়ে কেমন যেন চোখের সামনে খুব দ্রুত বদলে যাচ্ছে আমাদের চিরাচরিত শিক্ষা ব্যাবস্থার কাঠামো । বৈদিক যুগে গুরুগৃহে , মুক্ত পরিবেশে অরণ্যের সংস্পর্শে  পঠন-পাঠনের রীতি ছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর  নিজের জীবনে স্কুলের গন্ডী , ঘেরাটোপ , সিলেবাসের শাসন কখনও মানেননি ।

“ শিখিবার কালে , বাড়িয়া উঠিবার সময়ে প্রকৃতির সহায়তা নিতান্ত চাই । গাছপালা , স্বচ্ছ আকাশ , মুক্ত বায়ু , নির্মল জলাশয় ,উদার দৃশ্য— ইহারা বেঞ্চি এবং বোর্ড , পুঁথি , পরীক্ষার চেয়ে কম আবশ্যক নয় ” ( রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – শিক্ষা , শিক্ষাসমস্যা )।

শিক্ষা হবে মুক্ত এবং উদার , তা অবতারনা করবে স্বাধীন চিন্তার। কিন্তু আধুনিক বিশ্ব শিক্ষা ব্যবস্থাকে এ কোন দিকে নিয়ে চলেছে ? প্রকৃতির সংস্পর্শ থেকে দূরে , শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীর মধুর সম্পর্কের মাঝে পাঁচিল তুলে , কোনরকম মানবিক স্পর্শ বিমুখ একটা ছোট device এর স্ক্রীনে আবদ্ধ ! এমন দমবন্ধ করা পরিবেশে শিক্ষার বিকাশ হবে , নাকি আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে দম দেওয়া পুতুলে পরিনত করবো ? পুঁজিবাদের ছাতার তলায় বাস করা দম দেওয়া পুতুল !

রবীন্দ্র নাথ বলেছিলেন – “ শিশু বয়সে নির্জীব শিক্ষার মতো ভয়ঙ্কর ভার আর কিছুই নাই তাহা মনকে যতটা দেয়  তাহার চেয়ে পিষিয়া বাহির করে অনেক বেশি ” (পথের সঞ্চয় , শিক্ষাবিধি )।

 আজ থেকে এত বছর পূর্বে নির্জীব শিক্ষার ভয়ঙ্কর ভার রবীন্দ্রনাথ বুঝেছিলেন। গুরুকে ঈশ্বরের স্থানে বসানো ভারতীয় সমাজ শিখন ও শিক্ষন পদ্ধতির ও শিক্ষানীতির নানা পরিবর্তনের হাত ধরে গুরুকে friend , guide and philosopher এর আসনে বসিয়েছিল। একবিংশ শতাব্দীর শিক্ষিত প্রজন্মের অভিভাবকেরা বিদ্যালয়ের শিক্ষক –শিক্ষিকাদের হাতে সন্তানের শিক্ষার ভার তুলে দিয়ে খুব একটা খুশি হতে পারেননি। প্রাইভেট টিউশনের প্রভাব বাড়তে থাকে । কম্পিটিশানের ইঁদুরদৌড়ে সন্তানদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য । এমন সময় একধরনের বিজ্ঞাপণ দুশ্চিন্তাগ্রস্থ বাবা-মায়েদের আশার আলো দেখাল।  বিজ্ঞাপনে বলা হচ্ছে— Best teacher রা আপনার ছেলেমেয়েদের পড়াবেন , যেকোন problem মুহূর্তে সমাধান করে দেবেন। মনে রাখতে হবে, এই ধরনের বিজ্ঞাপনের কিছু আগে পরেই কেন্দ্রীয় সরকার নয়া শিক্ষানীতি ঘোষণা করেছিলো। এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই সমালোচনার ঢেউ ওঠে। এই বিষয়ে পুনরায় আলোচনা করব না l

ছবি : QRIUS

ওরা কেমন আছে ?

 রোদ্দুর স্কুলে যেতে খুব ভালোবাসতো। বাড়িতে তার খেলার সাথী কেউ নেই । বাবা মা দুজনেই চাকরী করেন। হঠাৎ বিশ্বজুড়ে ঘরবন্দী দশা। Covid 19 এর pandemic পরিস্থিতিতে সারা বিশ্ব ভয়ে কুঁকড়ে গেল , স্কুল কলেজ বন্ধ হয়ে গেল। এতদিনের চেনা ছক, চেনা পরিসর বদলে গেল ধীরে ধীরে, শুরু হল online classes । বছর ঘুরে গেল , কিন্তু স্কুল খুলল না । রোদ্দুরের মন ভালো নেই । ক্লাসের সবচেয়ে দুষ্টু ছেলেটা রবিউল online class এ বাংলা মিস কে বলে এবার স্কুল খুললে মিস্ তোমাকে একদম জ্বালাবো না ! বিশ্বাস কর ! বাড়িতে একদম ভালো লাগছে না । online class এ মৃত্তিকা ম্যাম খোঁজেন সেই সব ছেলেমেয়েদের যারা ক্লাসরুমে নিয়মিত দুষ্টুমি করত , পড়া না শুনে বিরক্ত করত তারা কেমন যেন বোবা হয়ে গেছে। ডাকলে মাঝে মধ্যে সাড়া দেয়—এভাবে ক্লাস করতে তাদের আর ভালো লাগে না। ওদের মন ভালো নেই । ওরা ভালো নেই।

 ডিজিটাল শিক্ষার নয়া বিজ্ঞাপন:

বহু স্বজন হারানো দ্বিতীয় ওয়েভ সামলে ওঠা ভারতবাসী তৃতীয় ওয়েবের ভয় নিয়ে ভাবছে digital platform ছাড়া আর উপায় কী ? রাষ্ট্র ব্যবস্থা ভাবছে digital platform  এ ছাত্র-শিক্ষককে অভ্যস্ত করে তুলতে হবে কারণ নয়া শিক্ষানীতি তবেই বাস্তবায়িত করা সুবিধেজনক হবে । এমন সময় নতুন মোড়কে বিজ্ঞাপন –আপনার বাড়িতে যদি laptop বা computer থাকে তাহলে বিশেষ বিশেষ learning App এর মাধ্যমে পড়াশোনা করে ছেলে-মেয়েরা নিজেদের উন্নতি করতে পারবে। মন দিয়ে পড়াশোনা করে বাবা মায়ের দুশ্চিন্তা দূর করে বন্ধু হয়ে উঠবে । এই learning App গুলো বলিউডের নামকরা তারকাদের দিয়ে brand  promote করিয়ে মানুষের মনে এই এডুকেশান সিস্টেমের প্রতি সমর্থন তৈরি করছে। একবার ভাবুন তো এই learning process কে সক্রিয় করানোর জন্য কতখানি খরচ ! তার পেছনে কত বড় বড় কোম্পানী রয়েছে । কেন তারা এত উৎসাহী ?

কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া শিক্ষানীতির মুখ্য উদ্দেশ্য শিক্ষাকে বেসরকারীকরণ করা । করোনাকালে অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে শেয়ার বাজারের এডুকেশন স্টকগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। একথা বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না যে online education ও digital platform এর হাত ধরে যে পুঁজির বিকাশের সুযোগ ঘটছে তা পুরোপুরিভাবে কাজে লাগাতে চাইছে কর্পোরেট হাউসগুলো ।

Pandemic পরিস্থিতিতে ছেলে-মেয়েরা যখন স্কুলে যেতে পারছে না , ঘরবন্দী , নানান online game এর addiction , অবসাদ এমন সময় এই রকম App এর প্রলোভন  চিন্তিত বিচলিত বাবা মাকে হয়ত কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে কিন্তু তার পেছনে লুকিয়ে আছে শিশুদের আরও বেশি করে অবসাদের দিকে ঠেলে দেওয়ার হাতছানি ।

  মেলা হবে- ভোট হবে, পরীক্ষা হবে না

 অন্যদিকে দশম – দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা ব্যবস্থা কী হবে তার সঠিক সিদ্ধান্তে না আসতে পারা কেন্দ্র ও রাজ্য ছাত্র-ছাত্রীদের প্রায় দেড় বছর ধন্ধে রেখে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছেলেখেলা করে শেষে পরীক্ষা বাতিল করে দেয়। অথচ , মেলা হল , ভোট হল, জমায়েত হল, ত্রাণও বিলি হল , শুধু বাদ পড়ল ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষার স্বপ্নটুকু। নানান internal assessment এর হাত ধরে এক বিরাট অংশের ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার স্বপ্নকে বিনাশ করা হল। এক মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেল শিক্ষক, অভিভাবক ও পড়ুয়াদের মধ্যে । দিল্লি পাবলিক স্কুলের এক ছাত্র আরহান মেহেতা  (রুবি পার্ক) সন্দেহের সাথে বলেছে – CBSE কীভাবে marking system ঠিক করবে যাতে কলেজে admission নিতে আমাদের অসুবিধা হবে না। অনেক আশা ও স্বপ্ন নিয়ে ওরা board exam এর প্রস্তুতি নিয়েছিল । রুটিন ও পরীক্ষার তারিখ শুনে আশ্বস্ত হয়েছিল । সব বন্ধ হয়ে গেল । অসমের এক ছাত্রী  পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তে আত্মহননের পথ বেছে নেয় । সাধারন মানের ছাত্রী হয়েও জীবনের প্রথম board exam নিয়ে সে খুব উৎসাহী ছিল। Board exams are a life changing event ( India Today).

কতদিন কচিকাচাগুলো স্কুলে যায়নি , কতদিন স্কুলের করিডোরে ১৮ বছরের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা শোনা যায়নি। কতদিন স্কুলের মাঠে শোরগোল হয়নি। ওদের নির্ভিক কথাবার্তা , ওদের মতামত বিনিময় , টিফিন ভাগ করে খাওয়া , বন্ধুত্বের মিষ্টি মধুর সম্পর্ক ,মান-অভিমান , ছোট ছোট প্রেমের গল্প –চোখের ঝিলিক দেখা যায়নি। গাছ ফুল পাতার সাথে বন্ধুত্ব হয় নি। ক্লাসরুমে পড়া বোঝানো ও পড়া বলতে পারার শব্দ শোনা যায়নি। ওরা ভালো নেই ।

“ বিদ্যা যে দেবে এবং বিদ্যা যে নেবে তাদের উভয়ের মাঝখানে যে সেতু সেই সেতুটি হচ্ছে ভক্তি স্নেহের সম্বন্ধ । সে আত্মীয়তার সম্বন্ধ না থেকে যদি কেবল শুষ্ক কর্তব্য বা ব্যবসায়ের সম্বন্ধ থাকে তাহলে যারা পায় তারা হতভাগ্য যারা দেয় তারাও হতভাগ্য”

 (রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর , বিশ্বভারতী-১১ )।

 একটা বড় অংশের ছাত্র ছাত্রী শুরুতেই ছিটকে গেল:    

এতো গেল দেশের মাত্র 30-35 শতাংশ ছাত্র-ছাত্রীর শিক্ষা ব্যবস্থার বর্তমান ছবি , বাকী 65 -70 শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী এই শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন । কিছু মাত্র whats App এর নোটস ও মিড-ডে মিলের চাল ডালে এদের শিক্ষা লাভের স্বপ্নটুকু সীমাবদ্ধ। অনেকর কাছে smart phone নেই ,তারা আরো পিছিয়ে। দিনের পর দিন ঘরবন্দী দশা , অনাহার, অশিক্ষা এক বিরাট সংখ্যক ছা্ত্রছাত্রীদের প্রতিদিন আরো অন্ধকারের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে । পুঁজিবাদীদের স্বার্থসিদ্ধ করার জন্য , শিক্ষাকে বেসরকারীকরণ করার উদ্দেশ্যে একটা প্রজন্মের শিক্ষার স্বপ্নকে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। পড়াশোনায় আগ্রহ কমে যাওয়া একটা বিরাট সংখ্যক ছাত্রছাত্রী  মাত্র কিছু শতাংশ ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার স্বপ্নকে পূর্ণ হতে দেখে ভুলে যাবে তারাও একদিন শিক্ষার আলোকে আলোকিত হত । আজকের পুঁজিবাদ শুধুমাত্র সমাজটাকে ধ্বংস করছে না ধ্বংস করছে আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎকে । ‘Indian Economy’ তে বলা হয়েছে – “2 out of 3 children will be left out of the online education process .” Digital Platfrom এ দেশের 60-70 % বাচ্চার কাছে online class করার মতো device নেই , ইন্টারনেট পরিষেবা নেই , ঘরে বসে ক্লাস করার মতো study room নেই । এমনকি বাচ্চাটিকে এই পদ্ধতিতে অভ্যস্ত করে তোলার মতো লোকবলও নেই । একটা প্রজন্ম অন্ধকারের দিকে এগিয়ে যাবে আর একটা প্রজন্ম ডিজিটাল এডুকেশানের হাত ধরে যন্তর-মন্তর ঘর থেকে বেরিয়ে এসে বলবে          ‘ হীরকের রাজা ভগবান ’ ।  আর যারা এই পরিষেবা পেল না তাদের জন্য না হয় তখন বলব – ‘ জানার কোন শেষ নেই জানার চেষ্টা বৃথা তাই ‘।

ক্ষতি হল বিস্তর:    

একটু ভাবুন, কোন ভবিষ্যতের দিকে আমরা আমাদের সন্তানদের নিয়ে চলেছি । Online class শিশুদের প্রকৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন করছে , প্রকৃতি তাদের কাছে একটা ছবিমাত্র । বর্তমান প্রজন্ম শুধুমাত্র body language বোঝে , মননের বিকাশ তাদের কাছে গুরুত্বহীন। অবসাদের কারণে বাচ্চারা ভুল পথে যাচ্ছে , নানান সাইবার ক্রাইমের সাথে যুক্ত হয়ে পড়ছে, অনলাইন গেমে আসক্তি বাড়ছে। একটা বড় অংশের ছাত্র ছাত্রী অনলাইন শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়ায়- স্কুল ছুটের সংখ্যা বাড়ছে, বাড়ছে অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেওয়ার সংখ্যাও। নিজেদের ওপর ভরসা হারিয়ে ডিভাইজের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে । এর ফলে তারা society সম্পর্কে জানছে কিন্তু social relation থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে । এর পরেও কী মনে হয় ওরা ভালো আছে। ক্লাসরুমে ছাত্র-শিক্ষকের একটা eye contact তৈরি হয় যা তাকে ক্লাস থেকে বিচ্ছিন্ন হতে বাধা দেয় – digital platform এ তা সম্ভব নয় । বাচ্চাদের নানান শারীরিক ও মানসিক সমস্যা হচ্ছে । মাত্র কিছু বছর আগে কোঠারী কমিশনের শিক্ষানীতির লক্ষ্য ছিল ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে স্কুলছুটের প্রবনতা কমিয়ে তাদের যেকোন ভাবে ক্লাসরুমে টেনে আনা, আর নয়া শিক্ষানীতির উদ্দেশ্য ক্লাসরুম থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বার করে নিয়ে গিয়ে ছোট একটা device  এর সামনে বসানো । যাকে মগজ ধোলাই যন্ত্র বললে মন্দ হবে না ।

সাহায্য গ্রহণ : নয়া শিক্ষানীতির উদ্দেশ্য কী ? –হর্ষ দাস।

লেখক পরিচিতি:

লোক সংস্কৃতির গবেষক, পরিবেশ কর্মী ও নাট্যকর্মী।

মেইল আই ডি:  suparnadey2010@gmail.com

3 thoughts on “ওরা ভালো নেই”

  1. Prabhat Kumar Mitra

    Xcellent .
    Problems are highlighted .
    But Is there any other alternative way to combat this epidemic situation .
    Bijus, pathfinder , akash etc are in existance since long back .

  2. Sujit kumar datta

    একটা ভযঙকর এবং সমযপোযগী সমস্যা র ওপর আলোকপাত করেছেন।যার থেকে আমরা কেউই বিচ্ছিন্ন নই।আরও গভীর ভাবে আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে মুক্তি র পথ বের করতেই হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top