ভারতবর্ষের কৃষক সমাজ দীর্ঘ ন-মাস হয়ে গেল কেন্দ্রীয় সরকারের সাম্প্রতিক তিনটি কৃষি আইনের বিরোধীতায় দিল্লীর টিকরি ও সিংঘু বর্ডারে অবস্থান বিক্ষোভে আছেন। যে দেশের ৫৮ শতাংশ মানুষ কৃষিজীবী, জিডিপির ১৭-১৮ শতাংশ আসে কৃষি থেকে, সেই কৃষির ভবিষ্যৎ-ই আজ অনিশ্চিত। বিগত কয়েক দশক ধরে কৃষকেরা সমস্যা জর্জরিত অবস্থায় আছেন। লক্ষ লক্ষ কৃষকের আত্মহত্যা যার সাক্ষ্য বহন করে। প্রথম সবুজ বিপ্লবের দৌলতে পঞ্জাব আজ ‘স্টেট অব ক্যানসারে’ পরিণত হয়েছে। উচ্চফলনশীল বীজ-রাসায়নিক সার-কীটনাশকের শৃঙ্খল কেবলমাত্র কৃষককে পথে বসিয়েছে তাই নয় কৃষিজমি, ভূগর্ভস্থ জলকে করেছে বিষাক্ত। বিষ আজ আমাদের শরীরে। বিকল্প খোঁজার তাগিদ দেখা দিয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে জৈবচাষ শুরু করেছেন অনেকে। তবে এখানেও আছে প্রশ্ন—একক ফসলের চাষে জৈবসার, জৈবকীটনাশক কি আর একপ্রকারে কৃষিকে পুঁজি নিবিড় করে তুলবে না? পরিবর্তে যদি এমন চাষ করা হয়, যা একই জমিতে একই সঙ্গে এমন কয়েকটি ফসল ফলাবে যারা পরষ্পরের পরিপূরক হিসাবে একে অন্যের পুষ্টির যোগান দেবে এবং কীটনাশকের কাজ করবে অর্থাৎ একটি কৃষি-বাস্তুতন্ত্র গড়ে তুলবে। এই নিয়ে একটু পড়াশুনো করতে গিয়ে দেখলাম — কিউবার কৃষকেরা এই ধরনের একটি কৃষি-বাস্তুতন্ত্র গড়ে তুলেছেন নিজেদের দেশে। নগর অঞ্চলেও গড়ে তুলেছেন ছোট-বড় নানান মাপের সব্জি বাগান। চলুন দেখে নিই কিউবার কৃষি-বিবর্তন।
অতীতে কেমন ছিল কিউবার কৃষি ও অর্থনীতি:
কিউবা বরাবর ছিল পৃথিবীতে সর্বাধিক আঁখ এবং চিনি উৎপাদক একটি দেশ। ১৫২৩ সালে স্পেন তার উপনিবেশ কিউবাতে প্রথম আঁখ চাষ শুরু করে। এরপর ১৮৯৮ সালে স্পেন-আমেরিকা যুদ্ধের মাধ্যমে কিউবা স্পেনের হাত থেকে মুক্ত হয়ে ১৯০২ সালে কিউবা রিপাবলিকে পরিণত হয়। তখন থেকে তার আঁখ ও চিনি নির্ভর অর্থনীতি আমেরিকার প্রভাবে আমেরিকামুখী হয়ে পড়ে। ১৯৫৯এর বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে যার অবসান ঘটে। বিপ্লবের পর কিউবা তার সমস্ত কৃষি জমির জাতীয়করণ করে। প্রধান ফসল আঁখ সোভিয়েত রাশিয়া কিনে নিত প্রায় পাঁচগুণ দাম দিয়ে। ৯৫ % সাইট্রাস ফসল রপ্তানী হতো COMECON ভুক্ত দেশগুলিতে। পরিবর্তে সোভিয়েত দিত ৬৩ % খাদ্যসামগ্রী এবং ৯০ % জীবাশ্ম জ্বালানি। সঙ্গে ছিল আমেরিকার বাণিজ্যিক অবরোধ। মোটামুটি এটাই ছিল কিউবার অর্থনৈতিক চিত্র ১৯৯১-এ সোভিয়েত রাশিয়ার পতন পর্যন্ত।
সোভিয়েত রাশিয়ার পতনের পরবর্তীতে কিউবার কৃষি:
ট্রাক্টর চালিত কৃষি, মূলতঃ আঁখ চাষ এবং আঁখ নির্ভর শিল্প—এক কথায় শিল্প নির্ভর কৃষি রাতারাতি ভেঙে পড়ল সোভিয়েত রাশিয়ার পতনের সঙ্গে সঙ্গে। ট্রাক্টর চালাবার তেল নেই, উৎপাদিত ফসল শহরে নিয়ে যাবার জন্য ট্রাকও চলবে না। বাইরে থেকে আসবে না কোন খাদ্য শস্য বা কৃষির জন্য রাসায়নিক সার এবং কীটনাশক। উদ্ভূত এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় কিউবার অধিবাসীরা যে যেমন ভাবে পারল খাদ্য উৎপাদনের রাস্তা বেছে নিল। গ্রামের মানুষ ফিরে গেল শ্রম-নিবিড় হাল-বলদের চাষে। শহরে বহু মানুষ অব্যবহৃত সরকারী জমিতে নিজেদের খাদ্য-সামগ্রী নিজেরা চাষ করতে শুরু করল। বেশ কিছু মানুষ বাড়ির পিছনের উঠোনে, ব্যালকনিতে বা ছাদের উপর সব্জি ফলিয়ে নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে শুরু করল। স্থানীয় পশু খামারের বর্জ্য জমিতে সারের কাজে ব্যবহার হতে লাগল। গ্রামে এবং শহরে উৎপন্ন ফসল কেবল স্থানীয় মানুষের প্রয়োজনেই ব্যবহৃত হতে লাগল। এক কথায় ইতিহাসের এই ”বিশেষ সময়ে“ কৃষক, পশুপালক, সাধারণ মানুষ সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে এক উত্তরনের প্রচেষ্টায় সামিল হলো। শিল্প-নির্ভর কৃষির যাত্রা শুরু হলো বাস্তুতান্ত্রিক কৃষির পথে।
সরকারী পদক্ষেপ:
কিউবার সরকার মানুষের স্বতঃস্ফুর্ত এই উদ্যোগের কার্যকারীতাকে যথার্থরূপে অনুধাবন করে, সরকারী নিয়ম-নীতিতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনল। প্রথমেই সম্পদের অধিকার, সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা, এবং কাজের পদ্ধতিগত বিষয়ে সংশোধন আনা হলো। উৎপাদন ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ করে বলা হলো কৃষকেরা নিজেরাই তাদের শ্রমের ফল ভোগ করতে পারবে। বড় বড় সরকারী খামারগুলি ভেঙে কৃষকদের মধ্যে বন্টন করা হলো জমির মালিকানা ছাড়াই জমির সম্পূর্ণ উপভোক্তা হিসাবে। সম্পূর্ণ বিষয়টি সুষ্ঠুরূপে পরিচালনার জন্য মিনিস্ট্রি অব এগ্রিকালচারে একটি স্বতন্ত্র বিভাগ খোলা হয় ১৯৯৪-এ, ডিপার্টমেন্ট ফর আরবান এগ্রিকালচার নামে। পরে ১৯৯৮-এ আরো একটি বিভাগ খোলা হয়, যার নাম ন্যাশানল গ্রুপ ফর আরবান এন্ড সবারবান এগ্রিকালচার। কিউবার নেতৃত্বের নীতি ছিল– বিকেন্দ্রীকরণ হবে এমন যা নিয়ন্ত্রনহীন নয়, আবার কেন্দ্রীকরণ যেন এমন না হয় যাতে মৃত্যু হয় স্বতঃস্ফুর্ত প্রচেষ্টার। নব নির্মিত বিভাগগুলি থেকে যে উদ্যোগ নেওয়া হলো আরবান এগ্রিকালচারের জন্য—1.প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষা, 2.গবেষণা ও উন্নয়ন, 3.কৃষি বাস্তুতন্ত্রের প্রয়োজনীয় উপকরণের ব্যবস্থা, 4.বস্তুগত ও নৈতিক উদ্দীপনের ব্যবস্থা। কিউবার শহরবাসী শিক্ষিত হলেও বাস্তুতান্ত্রিক কৃষি সম্পর্কে প্রাজ্ঞ ছিলো না। এদিকে কৃষকরা ধারন করছিল একটি ঐতিহ্যবাহী কৃষিজ জ্ঞান। বিজ্ঞানী, কৃষক ও শহরবাসীর মিলিত প্রচেষ্টায় মানুষ উৎপাদন করতে করতে শিখল, শিখতে শিখতে উৎপাদন করল, এবং পরস্পরের সঙ্গে জ্ঞান ভাগ করে নিতে শুরু করল। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টেকসই একটি কৃষি বাস্তুতন্ত্রের নানান দিক নিয়ে গবেষণা চলতে লাগল। নানান ধরনের কৃষিজ উপকরণের সহায়তা দেওয়া হতো কৃষকদের—জৈবসার ও জৈবকীটনাশকের প্রস্তুতি, শহরের জলসরবরাহ ব্যবস্থার মাধ্যমে জলসেচের ব্যবস্থা করা, বৃষ্টির জল সংরক্ষণ ইত্যাদি নানাবিধ বিষয়ে। এক কথায়, সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় ‘বিষেশ সময়’ পার করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলার শুরু।
কৃষি–বাস্তুতন্ত্রে উত্তরণ:
কিউবাবাসীরা নিজেদের অজান্তেই পরিবেশবাদীতে পরিণত হলো। নগরের বাগানগুলিতে নানান ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলতে লাগল। একই জমিতে একটি অন্তর একটি সারিতে দুটি করে সব্জি চাষ করা, যাতে একটি অপরটির পরিপূরক হিসাবে কাজ করে। আম, নিম এবং nonni (বাংলা পাই নি) গাছের পাতা ও ফল কীটনাশক হিসাবে প্রয়োগ করা হয়। অনেক সময় চাষের ক্ষেতে বেড়া দেওয়া হলো Thym (সুগন্ধি গুল্ম), তুলসি, গাঁদা, বা ভুট্টা গাছ দিয়ে, যাতে ক্ষতিকারক পোকা আসতে না পারে, আবার উপকারী পোকা আকৃষ্ট হয়। গারবেজ ভর্তি পতিত জমি উদ্ধার করে তাতে ভেষজ গাছ লাগানো হলো, যাতে ওষুধ আমদানির অবরোধকে মোকাবিলা করা যায়। কখনো এরকম ক্ষেত্রে ফলের গাছ বা বন সৃজনের জন্য গাছ লাগানো হয়। রাসায়নিক সারের বিপরীতে সব্জি বাগানগুলিতে পচা সব্জি গর্ত করে মাটিতে ফেলে কম্পোস্ট সার বানানো শুরু হলো। সেই সঙ্গে পাশেই পশু খামার থেকে বর্জ্য এনে যোগ করা হয়। গাছের ঝরা পাতাও বাদ যায় না। যেখানে চাষের সুযোগ নেই অথচ একটু জমি আছে এমন জায়গায় ফলের গাছ বা সাধারন গাছ লাগিয়ে নগরকে সবুজ করে তোলা হলো। ফসলের বৈচিত্র্যকে যেমন প্রাধান্য দেওয়া হলো সেই সঙ্গে জল, আলো, বাতাসের পূর্ণ সদ্ব্যবহারের দিকে নজর রাখা হলো। কোথাও গ্রীনহাউস তৈরী করে আলোর কার্যকারীতাকে বাড়ানো হলো। কৌশল হিসাবে আর একটি প্রচেষ্টাও উল্লেখযোগ্য। কোথাও কোথাও চাষের জায়গা, পশু খামার আর বনাঞ্চলের মধ্যে পর্যায়ক্রমে স্থানান্তর ঘটিয়ে প্রক্রিয়াগুলি চালানো হলো। চাষের সঙ্গে পশু খামারের পাশাপাশি মাছ চাষেরও পরিকল্পনা করা হলো। জলসেচের কথা আগেই উল্লেখ করেছি। প্রাকৃতিক উৎস, শহরের জল সরবরাহ ব্যবস্থার সঙ্গে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করা হলো। এক কথায় মাটির উপরে ও নীচে জীব বৈচিত্র্যকে পূনর্জীবীত করে তোলা হলো। আর এ কাজে মানুষের ঐতিহ্যগত জ্ঞানের সঙ্গে আধুনিক বিজ্ঞানের জ্ঞানকে মিলিত রূপে কাজে লাগানো হয়।
প্রাপ্তি:
শহরের সবুজায়ন দূষণের পরিমানকে অনেকখানি কমিয়ে দিল। শহরের বাগানগুলি প্রান্তিক মানুষের কর্মসংস্থান গড়ে তুলল। স্থানীয় ফসল স্থানীয় মানুষের দ্বারা ব্যবহৃত হবার কারণে জমির বিপাকীয়-ফাটল মেরামতির কাজ করল এবং পরিবহনের অভাবে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমল সেই সঙ্গে কমল কার্বন দূষন। আশেপাশের মানুষ নির্দিষ্ট খামারে গিয়েই সব্জি কিনে নেবার ফলে মানুষের মধ্যে সামাজিক বন্ধনগুলি দৃঢ়তা লাভ করলো। রাসায়নিক মুক্ত খাবার কিউবার মানুষের সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাল কোথাও কোথাও ছোট ছেলেমেয়েদের জন্য বাগানগুলিতে কর্মশালা করে তাদের প্রাকৃতিক বাস্ততন্ত্র সম্পর্কে তত্ত্বগত জ্ঞানের সঙ্গে সঙ্গে হাতে কলমে শেখার সুযোগ করে দেওয়া হলো। এক কথায় পরবর্তী প্রজন্মকেও প্রকৃতি, পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন নাগরিক হিসাবে বিকশিত করার কাজ চলতে লাগল। পুঁজি কেন্দ্রিক অর্থনীতির ভোগ-সর্বস্ব জীবনে শহর অঞ্চলের মানুষ সাধারণত পরস্পরের থেকে বিছিন্ন হয়ে বাঁচে। এখানে ঠিক তার উল্টোটা ঘটল। মানুষ প্রয়োজনের তাগিদেই অনেক বেশি সামাজিক হয়ে উঠল।
সংশয়:
আমেরিকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কিছুটা স্বাভাবিকের পথে। কিউবা ইতিমধ্যেই ইউ এস থেকে খাদ্য সামগ্রী আমদানী করছে। এখনো পর্যন্ত আংশিক অবরোধ থাকার কারণে বাজার সেইভাবে তেজি হতে পারে নি। তবে আমেরিকার কৃষিজ প্রকরণ ও ফসলের কারবারিরা বাজার দখলের জন্য ওঁত পেতে আছে। কিউবার এই বিশেষ ধরনের কৃষি ব্যবস্থা, যা এক সময় বাধ্য হয়েই মানুষ শুরু করেছিল তা কি পুঁজির শোষনের হাত থেকে রক্ষা করা যাবে? বিগত কয়েক দশক ধরে কিউবা যে কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে তা মূলত ঐতিহ্যবাহী, পরিবেশ বান্ধব, ক্ষুদ্রচাষ, যা আভ্যন্তরীন বাজারের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে পরিচালিত। এই ধরনের একটি কৃষি ব্যবস্থা শিল্প-নির্ভর পুঁজিবাদী কৃষির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় কিছুতেই টিকতে পারবে না। ক্ষতিগ্রস্ত হবে আভ্যন্তরীন বাজার, মানুষ ও প্রকৃতির স্বাস্থ্য।
উপসংহার
মানুষের শ্রম উৎপাদন ব্যবস্থায় যে ব্যবহার-মূল্য তৈরী করে তা পদার্থ ও শক্তির রূপান্তর। অর্থাৎ প্রকৃতির রূপান্তরের ফল। মানুষ ও প্রকৃতির বিপাক ক্রিয়ায় এটি একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। কিন্তু মানুষের শ্রম যখন পণ্য হিসাবে বিনিময়-মূল্য তৈরী করে তখন পুঁজির মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে একটি নির্বস্তুক সম্পর্ক তেরী করে। কৃষিজ ফসল যখন জমি থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে চালান হয়ে যায়, সঙ্গে চালান হয়ে যায় জমির নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশিয়াম এমনকি জলও, তখন মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির সম্পর্কও নির্বস্তুক হয়ে যায়। মাটি হারায় তার প্রজনন ক্ষমতা। প্রথম বিশ্ব কিন্ত উনিশ শতকেই এটা বুঝতে পেরেছিল। তাই হানা দিয়েছে নেপোলিয়নের যুদ্ধ-ভূমিতে, কবরস্থানে হাড়গোড় সংগ্রহের জন্য। হানা দিয়েছে গুয়ানো বা পক্ষিমলের দ্বীপের সন্ধানে। আজও ৬৬টি এরকম দ্বীপ আমেরিকার কব্জায় আছে। এরপর বিশ শতকে আসে রাসায়নিক সার। তৈরী হয় বিশ্বজোড়া বাজার। আজ একবিংশ শতকে এসে আমরা তার পরিণাম বুঝতে পারছি। এই সবের বিপরীতে কিউবার নগর উদ্যান একটি বিকল্প কৃষি-মডেল। কিউবা বাধ্য হয়েছিল ট্রাক্টরের বদলে হাল-বলদে ফিরে যেতে। কিন্তু সভ্যতার বর্তমান স্তরে এসে মেকানাইজেশনকে আমরা নিয়ন্ত্রন করতে পারি, কিন্তু অস্বীকার করতে পারব না। আর তাই কৃষিতে পিছিয়ে গিয়ে সভ্যতার সঙ্গে তাল রাখা যাবে না। যন্ত্রচালিত কৃষি, জীবাশ্ম জ্বালানির দূষণ, দূষণ নিয়ন্ত্রন—এই সমস্ত কিছুকে নতুন আঙ্গিকে ভাবতে হবে। এমন প্রকৌশলের উদ্ভাবন দরকার যা নারীরাও সহজেই ব্যবহার করতে পারবে। কারণ পুঁজির বিশ্বায়নের ফলে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে গ্রামাঞ্চল থেকে ক্রমেই পুরুষের পরিযান নারী ও জমির সম্পর্ককে আরো নিবিড় করে তুলছে। এটি সমাজের জন্য যেমন একটি ভালো দিক, সেই সঙ্গে কৃষি যাতে পিছিয়ে না পড়ে সেদিকেও আমাদের সতর্ক হতে হবে। এক কথায় সভ্যতাকে টিকিয়ে রাখতে প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটা বিশ্বজোড়া বিপ্লব দরকার।
তথ্যসূত্রঃ
Cuba: Model Of Sustainable Agriculture Towards Global Food Security – Analysis – Eurasia Review
Monthly Review | The Urban Agriculture of Havana
আধুনিক পরিবেশবিজ্ঞান ও মার্কসবাদ (মান্থলি রিভিয়ু সংকলন) সম্পাদনাঃ আশীষ লাহিড়ী।
লেখক পরিচিতি:
বিজ্ঞানের ছাত্রী, গণিতে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কাজ করেছেন এক দশকের উপর। বর্তমানে প্রবাসী এবং ইতিহাস ও সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ে জানা বোঝায় আগ্রহী।
যোগাযোগ:
For greener nature there are many more things to be done. Better farming with good agricultural practices, agri. allied activities without inserting harmful things in animal feed for more profit, sustainable forest activities with the help of forest dwellers, social forestry for the benefit of nature, different ways of natural water conservation, use of renewable energy in agri. fields, use of accredited bio-fertilizer, ways to check evaporation of water from river & water-bodies, waste plastic to be turned into consumer goods, conservation of indigenous crops, more protein & mineral-rich crops to be introduced & wasteland to be made for different profitable plantation can be attributed to pollution control & this little change can save our mother earth.