কোভিড- মানসিক স্বাস্থ্য বনাম পুঁজির মুনাফা বৃদ্ধি

পোস্টটি দেখেছেন: 26 বিজন পাল গত ১লা ফেব্রুয়ারি ২০২২, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সংসদে কেন্দ্রীয় বাজেট (২০২২-২০২৩) পেশ করেছেন। মানসিক স্বাস্থ্যের উপর কোভিড-১৯ মহামারীর প্রভাবকে স্বীকৃতি দিয়ে তিনি ঘোষণা করেছেন যে কেন্দ্র একটি জাতীয় টেলি মানসিক স্বাস্থ্য প্রোগ্রাম (National Tele Mental Health Programme) চালু করবে। তিনি আরো বলেছেন যে, মহামারিটি সমস্ত বয়সের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য […]

বিজন পাল

গত ১লা ফেব্রুয়ারি ২০২২, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সংসদে কেন্দ্রীয় বাজেট (২০২২-২০২৩) পেশ করেছেন। মানসিক স্বাস্থ্যের উপর কোভিড-১৯ মহামারীর প্রভাবকে স্বীকৃতি দিয়ে তিনি ঘোষণা করেছেন যে কেন্দ্র একটি জাতীয় টেলি মানসিক স্বাস্থ্য প্রোগ্রাম (National Tele Mental Health Programme) চালু করবে। তিনি আরো বলেছেন যে, মহামারিটি সমস্ত বয়সের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। এর আলোকে তিনি বলেন, নাগরিকদের গুনমান সম্পন্ন মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দেবার লক্ষ্যে ২৩টি টেলি মানসিক স্বাস্থ্য সেক্টরের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হবে। যেখানে বেঙ্গালুরুতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরো সায়েন্সেস (NIMHANS) এবং ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি ব্যাঙ্গালোর (IIIT-Bangalore) প্রযুক্তি সহায়তা প্রদান করবে।

তাহলে কি দাঁড়ালো:

 প্রথমত: অর্থমন্ত্রী স্বীকার করে নিলেন কোভিড কালে মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের বিপর্যয় ঘটেছে। এই মানসিক স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের সামাজিক কারণ কি? কোভিড কালে মানুষকে নিদান দেওয়া হল – কোভিড থেকে বাঁচতে সামাজিক দূরত্ব (Social Distance) বজায় রাখতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গিয়ে মানুষকে অপর ও সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হল। আবার এই বিচ্ছিন্নতাটাই কোভিড-১৯ রোগের নিদান হিসাবে সামনে এলো সামাজিক দূরত্বের নামে। সামাজিক সহযোগিতার বিপরীতে মানুষ আরো ব্যক্তিকেন্দ্রিক হল। এতে মানুষের একাকিত্ব বাড়তে থাকল। কোভিডের আক্রমণ ব্যাপক মানুষের মৃত্যু আতঙ্ক বাড়িয়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে একাকিত্ব, বেড়েছে অনিশ্চয়তা। বাচ্চাদের মধ্যে একরকম, বয়স্কদের মধ্যে একরকম, আর ছাত্র-যুবদের মধ্যে আরেক রকম। বাড়ির মহিলা বা কর্মী মহিলা থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন অংশে এর প্রভাব পড়েছে। MSME-র অধীনে থাকা ছোট ছোট কলকারখানাগুলি অধিকাংশই বন্ধ। সমাজের একটা বড় অংশ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। পরিবহণ কর্মী, হকার, ছোট ব্যবসায়ী, হস্তশিল্প কারিগর, কলেকারখানায় অসংগঠিত শ্রমিক, পরিযায়ী শ্রমিক থেকে শুরু করে সমাজের আরো কর্মক্ষম মানুষের মধ্যে অনিশ্চয়তার প্রভাব পড়েছে। একদিনের নোটিশে শহর ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিল ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের, তাদের দুর্দশার কথা ও মানসিক স্বাস্থ্যের কথা কেউ খেয়াল রাখেনি।

দ্বিতীয়ত: এক শ্রেণির বিত্তবান মানুষ বিলাসিতায় ব্যস্ত। তাদের ভোগ্যপন্য আহরণের পরিমান দিন দিন বেড়েছে। কোভিড কালেও তাদের সম্পদ সীমাহীনভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এক শ্রেনীর মানুষ দিন দিন সর্বস্বান্ত হয়ে যাচ্ছে। হাজার হাজার মানুষের চাকরি গেছে, এমনকি যারা টিঁকে রইল কাজের জগতে তাদের মজুরি কমেছে। তাদের জীবন ধারণ দুঃসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। নিম্নবিত্ত খেটে খাওয়া বাড়ির বাচ্চাদের এমনিতেই ভালোভাবে পড়াশুনার সুযোগ ছিলনা, আজকের অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থা তাদের কাছ থেকে শিক্ষার সুযোগটাই কেড়ে নিল, একটা বড়ো অংশের পড়ুয়া এই ডিজিটাল শিক্ষা থেকে ছিটকে গেল। তারা বাধ্য হলো মা বাবার সাথে চাষবাসের কাজে নিয়োজিত হতে। প্রচুর ছাত্র নতুনকরে পরিযায়ী শিশু শ্রমিকের মিছিলে যোগ দিতে বাধ্য হলো। বাড়লো বাল্যবিবাহের সংখ্যা। এসবের হাত ধরে স্কুলছুটের সংখ্যা বাড়লো লাফিয়ে লাফিয়ে।

অন্যদিকে বিত্তবান মানুষের সন্তানরা এই অনলাইন নির্ভর পড়াশুনা অন্তত একটা দূর পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে পাড়লো। ডিজিটাল ব্যবস্থা হাতের নাগালে থাকা এবং বিভিন্ন রকম অ্যাপের সাহায্যে পড়াশোনা চালিয়ে নিয়ে যেতে পারলো, ভালো চাকরি তারাই পাবে। যদিও অনলাইন শিক্ষায় এইসব পড়ুয়াদের বৌদ্ধিক বিকাশ কতদূর হলো সেই প্রশ্ন থেকেই গেল। বন্ধুবান্ধব সমাজ ও প্রকৃতি থেকে তাদের বিচ্ছিন্নতা আরো বাড়লো। অন্যদিকে খেটে খাওয়া মানুষের সন্তানরা অনলাইনে পড়াশোনার  সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়ে নিজেদের হীন ভাবতে শুরু করল। এই অনিশ্চয়তা থেকেই তারা মানসিক রোগের স্বীকার হচ্ছে নতুবা বিভিন্ন নেশার কবলে পড়ছে। এর প্রভাব সমাজের সর্বত্রই আজ চোখে পড়ছে। এই অনিশ্চয়তা, একাকিত্ব থেকেই মানসিক স্বাস্থ্যের বিপর্যয় ঘটেছে। সেখানে Individual Mental Health কে সামনে এনে এই রোগের সামাজিক কারণকে চাপা দেওয়া হয়েছে। এবং মানসিক স্বাস্থ্যের বিপর্যয়কে মনোরোগ হিসাবে দেখানো হচ্ছে। এই রোগের বস্তুগত ভীত হচ্ছে একাকিত্ব, অনিশ্চয়তা – তাকে ঠিক না করে অন্যান্য মেডিকেল ব্যবসার মতো মেন্টাল হেল্থ ব্যবসার প্রসার ঘটানো হচ্ছে।

 কোভিডের অর্থনৈতিক কারণ কী?

৯০-এর দশকের পর বড় বড় কল কারখানা (Big industry)-র উৎপাদনকে ভেঙে টুকরো টুকরো করে Value Chain-এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া হল। এই টুকরো হবার ফলে প্রতিটি টুকরোতে পণ্যায়ন হল আগে বড়  বড় কারখানায় সমস্ত টুকরোগুলো একত্রিত হয়ে সর্বশেষে একবারই পণ্য রূপে বাইরে আসত। এখন এই প্রতিটি টুকরো অংশে ব্যাংকের লগ্নির সুযোগ তৈরি হল। অন্যদিকে ইন্টারনেট ব্যবস্থা আসার পর বিশ্বজুড়ে অর্থ চলাচলের গতি বাড়তে থাকল। অর্থাৎ আগে কোনো পণ্য কিনতে গেলে পণ্যের মালিকের কাছে টাকা পাঠাতে সময় লাগতো এবং সেই টাকা পণ্যের মালিকের কাছে পৌঁছানোর পর তিনি পণ্য বিক্রি করতেন। ইন্টারনেট ব্যবস্থা আসার পর সময়ের ব্যবধানও কমতে থাকল। সাথে সাথে বিশ্বজুড়ে পণ্য চলাচলের জন্য পরিবহণ ব্যবস্থারও উন্নতি ঘটানো হল। অর্থ বিনিয়োগ করার পর বিনিয়োগকারির হাতে বর্ধিত অর্থ আসতে আগে যে সময় লাগত এখন সেই সময় কাল কমে গেল। অর্থাৎ পুঁজির চক্রাবর্তে বেশি পরিমাণে পুঁজি একটি পূর্ণ চক্র সম্পূর্ণ করতে যেখান এক বছর সময় লাগত, সেখান অনেক কম পরিমাণে পুঁজি বছরে তিন বা চারটি চক্র সম্পন্ন করছে। ফলে মুনাফার হার অনেক বেড়ে গেছে। এই পুঁজির হারের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে উৎপাদনে ব্যবহৃত অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। ফলে উৎপাদনের গতি যেমন বেড়েছে, পাশাপাশি বহু মানুষ উৎপাদনের জগৎ থেকে বাইরে গিয়ে বেকার হয়ে পড়ছে।        

 আর একটা দিক সামনে আনা দরকার – আগে যেখানে শিল্প উৎপাদন প্রধাণত ইউরোপ, আমেরিকায় বেশি হত। এখন এশিয়া, আফ্রিকার মতো সস্তা শ্রম ও সহজলভ্য প্রকৃতির দেশগুলিতে উৎপাদন হতে লাগল। আর এর বিক্রির জন্য বাজার হল ইউরোপ, আমেরিকার মতো ধনী দেশগুলি। পরিবেশগত ভাবে দেখলে দেখা যাবে – আগে ইউরোপ, আমেরিকার উৎপাদনে যে দূষণ হত তা সমুদ্র ও বাতাসের মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে বায়ুমন্ডলের উষ্ণতার সমতা বজায় রাখত। আর এখন উৎপাদন এশিয়া, আফ্রিকার মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে হওয়ার ফলে এখানে দূষণ বেড়েছে। আর উন্নত দেশগুলিতে নগরায়ন বেড়েছে, বেড়েছে গাড়ির ব্যবহার ও ব্যাপক ভাবে বেড়েছে বিদ্যুতের ব্যবহার। ফলে সেখানেও দূষণ বেড়েছে। অন্যদিকে অর্থের ঊর্ধ্বগতিকে বাড়ানোর জন্য মানুষের মধ্যে ভোগবিলাসকে বাড়ানো হল। এই উপভোক্তারাও বাজারে টুকরো টুকরো ব্যক্তিকেন্দ্রিক (individual), ফলে সামাজিক বন্ধন (Social bonding) ভেঙ্গে গেল। কোভিদের সুযোগ নিয়ে রাষ্ট্রনায়করা এই বিচ্ছিন্নতা আরো অনেকগুন বাড়িয়ে দিতে পারলো। সমাজ ও প্রকৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন করে ব্যক্তিমানুষকে চার দেওয়ালের খুপরির মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হলো।

 সারা পৃথিবীব্যাপী অর্থের  উর্দ্ধগতিকে সুরক্ষিত রাখার জন্য উন্নয়নের নামে নগরায়নের ফলে বন-জঙ্গল ধ্বংস হচ্ছে। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য জঙ্গল কেটে ফেলা হচ্ছে। আবার জঙ্গলের নিচে স্থিত খনিজ সম্পদ উত্তোলন করার জন্য জঙ্গল কাটা হচ্ছে। সেখানের বন্যপ্রাণী, কীটপতঙ্গ, ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস সবই বিপন্ন হচ্ছে। কিভাবে – জঙ্গলের মধ্যে প্রত্যেকের সাথে প্রত্যেকে মিথোস্ক্রিয়ার সম্পর্কে আবদ্ধ। সবাই সবার উপর নির্ভরশীল। এখানে উপকারী ও অপকারী ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস প্রকৃতির সাথে মিলেমিশে বসবাস করার সাথে সাথে সমস্ত প্রাণী জগতেরও বেঁচে থাকার শর্ত তৈরি করে। আজ জঙ্গল ধ্বংস হবার সাথে সাথে সেখানের জীববৈচিত্র্যও ধ্বংস হচ্ছে।

 জুনোটিক ভাইরাস সাধারণত বন্যপ্রাণী দেহে থাকে। জঙ্গল উচ্ছেদের ভেতর দিয়ে এইসব প্রাণীগুলির অস্তিত্ব যদি বিলীন হয়ে যায় তাহলে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার অস্তিত্ব বিলীন হয় না। আবার ভাইরাসের চরিত্র এমনই যে তারা জীব ও জড় দুই অবস্থাতেই থাকতে পারে। শরীরে থাকলে জীব আর বাইরে থাকলে জড়। তাদের উপযুক্ত বাসস্থানের অভাব হলেই তারা তাদের চরিত্র বদল করে মানুষের শরীরে ঢুকে পড়ে। সার্স, মার্স ও আজকের কোভিডের কারণও এই ভাইরাসগুলি। বিজ্ঞানীদের মতে কোভিড ভাইরাস ছিল বাদুড়ের শরীরে। বাদুড়ের ক্রম বিলুপ্তিতে এই ভাইরাস পেঙ্গুলিনের শরীরে বাসা বেঁধেছে। পেঙ্গুলিনের ক্রম বিলুপ্তিতে এই ভাইরাস মানুষকে আক্রমণ করছে। তাহলে একদিকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় আর উল্টোদিকে কোভিডের আক্রমণ। অর্থাৎ একদিকে উন্নয়নের নামে প্রকৃতি-পরিবেশকে ধ্বংস করে পুঁজির মুনাফার গতিকে বাড়ানো আর উল্টোদিকে প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংসের ফলে বাড়ছে বিভিন্ন রোগের প্রকোপ। কোভিড-১৯ তার মধ্যে একটি।

এই কোভিডের আসল কারণ ও এই রোগকে সঠিক বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিতে মোকাবিলা করার বিষয়টি সামনে আনা হলো না। বরং স্যানিটাইজার মাস্ক ও হাজারটা অপ্রয়োজনীয় ওষুধ ব্যবহার করতে মানুষকে বাধ্য করা হলো। অন্যদিকে যে অর্থনীতির গতির সাথে মানুষ চলতে পারছে না সেটা সামনে আসছে না।

অনিশ্চয়তা ও মানসিক সমস্যা:

এই রোগের প্রধান কারণটাই হচ্ছে মানুষের অনিশ্চয়তা (uncertainty)। আর এই পরিস্থিতিতে মানুষের অনিশ্চয়তা অনেক বেড়েছে। এই রোগকে সারাতে গেলে প্রথমেই দরকার কমিউনিটি হেল্থ এবং মানুষে মানুষে পরস্পরের সহযোগিতা। তার বদলে সরকার মানুষকে মানসিক রোগী হিসাবে বিচার করে জাতীয় টেলি মানসিক স্বাস্থ্য প্রোগ্রাম চালু করবে। এখানে টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে কাউন্সেলিং হবে। এখানে প্রশ্ন একজন রোগীকে না দেখে কিভাবে মানসিক রোগের মতো একটা রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব? তর্কের খাতিরে যদি ধরেই নি এভাবে চিকিৎসা সম্ভব, কিন্তু এই রোগী সুস্থ হবার পর আবার তাকে সেই অনিশ্চিত পরিবেশেই ফিরতে হবে। এই রোগের বস্তুগত ভিত অনিশ্চয়তা। এই বস্তুগত ভিতকে না সারিয়ে সরকার শুধুমাত্র একটা ব্যবসায়িক মডেল তৈরী করতে যাচ্ছে। এই মেন্টাল হেল্থ আসলে অন্যান্য মেডিকেল ব্যবসার মতোই একটা নতুন মডেল। অথচ মানসিক রোগ সারাতে যেটা দরকার তা হলো-মানুষকে ব্যক্তিকেন্দ্রীকতা থেকে বাইরে এনে সমষ্টির সাথে মিলিয়ে দেওয়া। এমনিতেই মানুষ দিন দিন ব্যক্তিকেন্দ্রিক চিন্তায় আবদ্ধ হচ্ছে, তার সাথে সাথে কোভিডের কারণে লকডাউনের ফলে মানুষের সাথে মানুষের দূরত্ব বেড়েছে। এখানে দরকার ইন্ডিভিজুয়াল মেন্টাল হেল্থের বদলে কমিউনিটি মেন্টাল হেল্থ। যেখানে মানুষ ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা থেকে বেরিয়ে নিজেদের মধ্যে সহযোগিতার মাধ্যমে গড়ে তুলবে একটি সুস্থ সুন্দর সমাজ।           যে কর্পোরেটরা কোটি কোটি টাকা মুনাফা করল তাদের মানসিক রোগের খবর শোনা যায় না, আর যারা অর্থনৈতিক কারণে অনিশ্চয়তায় ভুগছে তাদেরই মানসিক স্বাস্থ্য বিঘ্নিত হচ্ছে। মানুষ নিজে নিজেকেই অক্ষম ভাবছে, মানুষ ভাবতে পারছে না যে এই অর্থনীতি মানুষকে সুস্থ ভাবে, সামাজিক ভাবে, প্রাকৃতিক ভাবে বাঁচিয়ে রাখতে অক্ষম। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে রোগটি কার, মানুষের না এই অর্থনীতির। এই রোগের বস্তুগত ভিতই হল অর্থনীতি। যদি মানুষের রোগ অর্থনীতির কারনে হয় তাহলে তো অর্থনীতিকেই দায়ী করা উচিৎ।

1 thought on “কোভিড- মানসিক স্বাস্থ্য বনাম পুঁজির মুনাফা বৃদ্ধি”

  1. পরেশ দেবনাথ

    অত্যন্ত মূল্যবান এবং সময়োপযোগী নিবন্ধটি পড়ে সমৃদ্ধ হলাম।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top