তারাশঙ্কর ভট্টাচার্য
ভারতের অলিম্পিক জয়ী কুস্তিগীর মেয়েরা দিল্লির যন্তর-মন্তরে ধর্নায় বসে আছেন। তাঁরা এই ধর্না চালিয়ে যাচ্ছেন ২৩ শে এপ্রিল ২০২৩ তারিখ থেকে। WFI (কুস্তিগীর ফেডারেশান) এর সভাপতি ব্রীজভূষণ শরণ সিংয়ের পদত্যাগের দাবিতে ২৩ শে এপ্রিল ২০২৩ তারিখ থেকে । সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের পরামর্শমতো ২৫ শে এপ্রিল ২০২৩, মহিলা কুস্তিগীরদের দ্বারা কথিত যৌন হয়রানির অভিযোগে ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর নিবন্ধনের আবেদনের উপর নোটিশ জারি হয়েছে। পদক জয়ীদের তালিকায় আছেন অলিম্পিয়ান বজরং পুনিয়া, ভিনেশ ফোগাট ও সাক্ষী মালিকের মতো পদকজয়ীরাও।
অন্তত ২০ জন কুস্তিগীরের সাথে এরকম যৌন হেনস্থা করা হয়েছে, অভিযোগ ভিনেশ ফোগাটের। তাঁরা বলেছেন –”অনেক সহ্য করেছি, এই সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে”। এই নির্মম সত্য সামনে আনার জন্য এমনকি প্রাণ সংশয়েরও যথেষ্ট ভয় আছে, এমন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রতিবাদী কুস্তিগীররা। ভিনেশ ফোগাট জানিয়েছেন, তিনি ২০২১ এর টোকিও অলিম্পিক শেষ হয়ে যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ব্রীজভূষণ সম্পর্কে অভিযোগ জানিয়েছিলেন । প্রধানমন্ত্রী তাঁদেরকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে তিনি বিষয়টি দেখবেন ।
এই খবর পেয়ে সভাপতি ব্রীজভূষণ হুমকি দেন, লক্ষ্ণৌ থেকে আসার সময় খেলোয়াড়দের পথের মাঝে প্রাণ-সংশয় ঘটানো হতে পারে। “দৈনিক ভাস্কর” পত্রিকায় ভিনেশ ফোগাটের সাক্ষাতকার বেরিয়েছিল এই বিষয়ে ২০২১ সালে। প্রশ্ন ওঠে, প্রধানমন্ত্রী তাহলে এই দু’বছরে কী করছিলেন, কেনই বা ব্রীজভূষণ এখনো সভাপতির পদে বহাল আছেন? সরকার , দল বা প্রধানমন্ত্রী তাঁর দলের প্রবল প্রতিপত্তিশালী সাংসদকে কি ভয় করেন ? কেন করেন ? কেন তাঁকে পুলিশ গ্রেপ্তার করছে না? তিনি তো নাবালিকার যৌনহয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত। দোর্দন্ডপ্রতাপ কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরকেও প্রতিবাদীরা অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তার পরিণতিতে ফোগাটকে সভাপতির কড়া হুমকির মধ্যে পড়তে হয় । ভিনেশ জানিয়েছিলেন যে, এই কঠিন পরিস্থিতিতে ভিনেশ আত্মহত্যার সিদ্ধান্তে উপনীত হন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে –ফিজিওথেরাপিস্ট পরমজিৎ এর বয়ান অনুযায়ী জানা যায় যে, রাতে এ্যাথলিস্ট মেয়েদের লক্ষ্ণৌ ক্যাম্প থেকে ব্রীজভূষণের ডেরায় তুলে নিয়ে যাওয়া হত । অন্যদিকে মেয়েদের বিভিন্ন ক্রীড়া জগতের পুরষ্কার পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখানো হত। ব্রীজভূষণের এই অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বিজেপির সদস্য পদ নেওয়া বিভিন্ন ক্রীড়াবিদদের বয়ান দেওয়ানো হত, বিভিন্ন মেয়েদের মুখ ঢাকা ফেইক (fake) বিবৃতি দেওয়ানো হত। ভাজপা সদস্য কুস্তিগীর যোগেশ্বর দত্ত, এবং আর এক ভাজপা সদস্যা কুস্তিগীর দিব্যা কাকড়ন ব্রীজভূষণের পক্ষে দাঁড়িয়ে পুলিশকে অনুরোধ জানিয়েছেন, এই ‘মিথ্যা অভিযোগের’ উপর ভিত্তি করে ব্রীজভূষণকে যেন গ্রেপ্তার না করা হয়। বিজেপির অন্যান্য নেতৃত্বও ময়দানে নেমে পড়েছেন এই ভদ্রলোকটির সমর্থনে। তাঁদের যুক্তি হলো – সভাপতি ব্রীজভূষণ সহ সামগ্রিকভাবে বিজেপিকে কলঙ্কিত করার জন্য বিরোধী রাজনৈতিক লবি উঠেপড়ে লেগেছে। তাহলে আসুন, এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক এই বাহুবলি ভাজপা নেতার গৌরবময় উত্থানের কাহিনী।
কেন সরকার তথা বিজেপি অভিযুক্ত সম্পর্কে এত নীরব
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে, দিল্লি পুলিশ মহিলা কুস্তিগীরদের রিপোর্ট নথিভুক্ত করেছে। কিন্তু তাদের মধ্যে একজন নাবালিকা মেয়ের অভিযোগ নথিভুক্ত করার পরেও, অবিলম্বে অভিযুক্ত ব্রিজভূষণকে পকসো আইনে গ্রেফতার না করে, চুপচাপ বসে আছে। অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে একজন আধিপত্য বিস্তারকারী ডন ব্রিজভূষণ, যে তাঁর গ্রেপ্তারের ভয়ে, প্রেসের সামনে তার অর্থনৈতিক অবস্থার কথা তুলে ধরে, এর থেকেই বোঝা যায় সে না থাকলে বিজেপির কতটা ক্ষতি হতে পারে।
এই উদ্দেশ্যেই সে অখিলেশ যাদবের সাথে তার শৈশবের সম্পর্কের কথা জানিয়ে আরেকটি বাজি খেলে যে, বিজেপি না হলে সমাজবাদী পার্টিই তার পরবর্তী গন্তব্য।মোদি ভালো করেই জানেন যে, পূর্ব উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের সীমান্ত এলাকায় ব্রিজভূষণের ভালো দখল রয়েছে। একজন ক্ষত্রিয় হওয়ার পাশাপাশি, দিল্লির চেয়ারের দিকে চোখ রাখা আরেক রাজপুত নেতা এবং মুখ্যমন্ত্রী অজয় সিং বিষ্ট ওরফে আদিত্যনাথকে বশ করতে এই মাফিয়া ডনকেও তার প্রয়োজন। এমতাবস্থায় প্রশ্ন শুধু এমপি আসনের নয়, মোটা দলীয় তহবিল ও ভবিষ্যৎ কৌশল নিয়েও। যা মোটেও হারাতে চান না মোদী-শাহ।
ব্রিজভূষণ শরণ সিং এর ক্ষমতায় উত্থানের সোপান
অটল বিহারী বাজপেয়ীর শুধুমাত্র ১৩ দিন প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের সাথে সম্পর্কের অভিযোগে ব্রিজভূষণ শরণ সিংকে TADA অধীনে তিহার জেলে বন্দী করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সাথে সাথে বাজপেয়ী ব্রিজভূষণকে একটি চিঠি লিখেছিলেন এবং এমনকি সাভারকারের সাথে তুলনা করেছিলেন। অর্থাৎ বাজপেয়ির দৃষ্টিতে সাভারকর এবং ব্রিজভূষণ দুজনই সমান ছিলেন।
সেই কারণে ব্রিজভূষণ টিকিট না পাওয়াতে অন্য কোনও প্রার্থীকে না দাঁড় করিয়ে বিজেপি গোন্ডা থেকে তার স্ত্রী কেতকি দেবী সিংকে টিকিট দিয়ে নির্বাচনে জিতিয়েছিল। ১৯৯৮-৯৯ সালে যখন অটল বিহারী বাজপেয়ী আবার প্রধানমন্ত্রী হন, তখন ব্রিজভূষণের প্রতি ভালবাসা জেগে ওঠে এবং সিবিআই থেকে ক্লিন চিট পেয়ে তিনি মুক্তি পান। অটলবিহারীর অনুপ্রেরণার পর, ব্রিজভূষণের মর্যাদা বাড়তে থাকে এবং অভিযোগগুলো সব ধামাচাপা পড়ে যায়।
১৯৯১ সালে বিজেপি যখন ব্রিজভূষণ সিংকে লোকসভার টিকিট দেয়, তখন তার বিরুদ্ধে ৩৪ টি ফৌজদারি মামলা দায়ের ছিল। বিজেপি এই গুন্ডাকে গোন্ডার রবিনহুড আখ্যা দিয়ে রক্ষা করেছিল এবং সে বিপুল ব্যবধানে নির্বাচনে জিতেছিল।
৮ই জানুয়ারী, ১৯৫৭ সালে গোন্ডায় (উত্তরপ্রদেশ) জন্মগ্রহণ করা, ব্রিজভূষণ শরণ সিংকে রাজ্যের সবচেয়ে বড় বাহুবলী নেতা হিসাবে মনে করা হয়। তার দুঃসাহসী গুন্ডামি এমন ছিল যে, ছাত্ররাজনীতির সময় কলেজের কোন এক মামলায় হ্যান্ড গ্রেনেড মেরেছিল, তার পরেই তার নাম উঠে আসে এবং সে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়। পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সে এসপির দিকে পিস্তল তাক করতেও পিছপা হয় না। রাজনীতিতে তার এমনই দখল যে, সে টানা ৬ বার এমপি নির্বাচনে জয়ী। এছাড়াও ব্যবসা বুদ্ধিতেও তার জুড়ি মেলা ভার। সে ৫৬ টিরও বেশি স্কুল-কলেজের মালিক। তার প্রভাব এমন যে, সে পার্টি লাইন বাদ দিয়েও বিবৃতি দেয়।
সে তার ক্ষমতা বলে ব্যক্তিগতভাবে ছেলে করণ ভূষণ সিংকে রেসলিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট, দ্বিতীয় ছেলে প্রতীক ভূষণ সিংকে বিজেপি বিধায়ক, ছেলের শ্যালক আদিত্য প্রতাপ সিংকে WFI -এর যুগ্ম সম্পাদক এবং জামাতা বিশালকে বিহার রেসলিং ফেডারেশনের সভাপতি বানিয়ে দেয়। যদিও সে নিজে বিগত ১১ বছর ধরে রেসলিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার (WFI) সভাপতির পদে অধিষ্ঠিত রয়েছে।
ব্রিজভূষণ শরণ প্রাথমদিকে মোটরসাইকেল চোর এবং চৌথ রিকভারি গ্যাংয়ের সদস্য ছিল। তারপরে মদ মাফিয়ার সাথে সংযোগ, ছাত্র রাজনীতিতে প্রবেশ এবং তারপর দাউদ ইব্রাহিমের সাথে সংযোগের যাত্রা। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সভাপতি অশোক সিংহলও তার খুব ঘনিষ্ঠ ছিল, কিন্তু সেই সময়ে আরএসএসের সঙ্গে তার সম্পর্ক খুব একটা ভালো ছিল না। বর্তমানে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে কয়েক ডজন মামলা রয়েছে। যদিও বাবরি মসজিদ ধ্বংস এবং দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে যোগসূত্র নিয়ে সে ক্লিনচিট পেয়েছে। বাকিগুলো এখনো চলছে। ব্রিজভূষণ শরণ সিং বলেছে যদি মোদী, অমিত শাহ বা জেপি নাড্ডা তাকে ভারতীয় রেসলিং ফেডারেশনের পদ থেকে পদত্যাগ করতে বলে তাহলেও সে পদত্যাগ করবে না। নোট ও ভোটের ওপর যে কোনো রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব নির্ভর করে তা সবারই জানা। এই ক্ষেত্রে বিজেপির কাছে ব্রিজভূষণ কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা স্পষ্ট হয়ে যায় যন্তর মন্তরে ১৭ দিন ধরে ধর্নায় বসে থাকা মহিলা কুস্তিগীরদের প্রতি মোদি অ্যান্ড কোম্পানির অবহেলা থেকে।

বিজেপি নেতৃবৃন্দ প্রশ্ন তুলেছে ২০১২ সাল থেকে অভিযোগ কেন ওঠেনি?
২০১২ সালে বাস্তবিকই এক আওয়াজ ঊঠেছিল। কিন্তু ২৪ ঘন্টার মধ্যে FIR তুলে নিতে বাধ্য করা হয়েছিল। ফের ২০১৪ সালে আবার ওর বিরুদ্ধে FIR হয়। এবং এবারেও যথারীতি একই ঘটনা ঘটে। সেবার ফিজিওথেরাপিস্ট পরমজিৎ আর তার কুস্তিগীর স্ত্রীকে ক্যাম্প থেকে বের করে দেওয়া হয়। ১১ বছর ধরে সকলকে মারধোর করা, ধমকি দেওয়া এই ছিল ব্রীজভূষণের আদত। মহিলা কুস্তিগীরদের দিয়ে হাত-পা টেপানো স্বাভাবিক ঘটনা ছিল। যারা তার ফরমান মেনে চলত তাকে বিভিন্ন পুরষ্কার পাইয়ে দেওয়া হত। ২০১৪ সালের পর ভিনেশ ফোগাট সরাসরি প্রধানমন্ত্রী এবং ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু বাহুবলী ব্রীজভূষণকে মুখের সামনে বলার ক্ষমতা বুলডোজার বাবা, অনুরাগ ঠাকুর বা মোদীজী দেখাতে পারেন নি।
ধূমায়িত হচ্ছে ক্ষোভ
আজ পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁচেছে যে, সারা দেশ উত্তাল হয়ে উঠেছে অভিযুক্ত ব্রীজভূষণের অবিলম্বে গ্রেপ্তারি ও ফেডারেশানের পদ থেকে তাকে সরানোর দাবিতে। ক্রীড়াবিদ অভিনব বিন্দ্রা, নীরব চোপড়া, সানিয়া মির্জা, মেরি কম সহ অনেক ক্রীড়া জগতের মানুষজন কুস্তিগীর খেলোয়াড়দের এই লড়াইয়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন। যদিও বাঙালির আইকন সৌরভ গাঙ্গুলি লড়াকু কুস্তিগীরদের সমর্থন তো করেন নি, বরং ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রাক্তন সভাপতি স্বভাবগত ভাবেই প্যাঁকাল মাছের মতো পিছলে বেরিয়ে গেছেন।
আমাদের দেশের অর্থনীতির ৫২ শতাংশই কৃষি অর্থনীতির উপর নির্ভরশীল। গত রবিবার, ৭ ই মে, সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতা হান্নান মোল্লা, বিকেইউ নেতা রাকেশ টিকায়েত সহ প্রায় দুই হাজার কৃষক কুস্তিগীরদের ধর্নায় সামিল হয়েছেন। হরিয়ানা, পাঞ্জাব, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ থেকে কৃষকদের পাশাপাশি ছাত্র ও নারী সংগঠনের কয়েক হাজার মানুষ হাজির হলেন ধর্না মঞ্চে। যদিও দিল্লি পুলিশ কোমর বেঁধে নেমে পড়ে মানুষের এই ঢল আটকাতে। প্রতিবাদকারীদের দাবি – দিল্লি, গাজীপুর সীমানা দিয়ে কোনো মিছিলই ঢুকতে দেওয়া হয় নি। তবে রবিবার রাতে সবাই মিলে মোমবাতি মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। এবং এশিয়ান গেমস ও কমনওয়েলথ গেমসের সোনাজয়ী কুস্তিগীর বিনেশ ফোগট জানিয়েছেন –” ৩১ জনের কমিটি রায় দিয়েছে যে, আগামী ২১ মে- র মধ্যে দিল্লি প্রশাসন যদি অভিযুক্ত ব্রিজভূষণকে গ্রেপ্তার না করে, তাহলে আমাদের আন্দোলন বিরাট চেহারা নেবে।” এই বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে সংযুক্ত কিষান মোর্চার তরফে বলা হয়েছে – “২১ মে-র মধ্যে যদি কুস্তিগীরদের দাবি মানা না-হয়, তাহলে আমরা শুধু দিল্লি নয়, দেশজুড়ে আন্দোলনের ডাক দেবো।” অন্যদিকে চারটি সর্বভারতীয় নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে ঘোষণা –”নাবালিকা সহ সাত কুস্তিগীরের উপর যৌন হেনস্থা চালানো ব্রিজভূষণ জেলের বাইরে থাকলে তা নারী জাতির অপমান, যা আমরা মেনে নেব না।”
“বেটি পড়াও, বেটি বাঁচাও” এর প্রবক্তা নরেন্দ্র মোদী নারীর সম্মান রক্ষায় কেন এতখানি নিস্পৃহ অবস্থান নিচ্ছেন? এই নিরবতা কি দ্বিচারিতার পরিচয় নয়? কেন সন্ত্রাসবাদের উচ্ছেদ ঘোষণা দেওয়া “বুল ডোজার বাবা” যোগী আদিত্যনাথজীর পুলিশ ‘কাঠপুতুলের ‘ ভূমিকায় নিশ্চুপ? অন্যদিকে ব্রিজভূষণ নির্বিকার চিত্তে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে এখনো। পকসো আইনে অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হয়না আমাদের দেশে। এমন আমাদের দেশের আইন , এমন আমাদের দেশের রাষ্ট্রের নেতারা । ২৮ শে মে সরকারকে রিপোর্ট দিতে হবে , তার মধ্যে ক্ষোভ-বিক্ষোভ ছাইচাপা আগুনের নীচে ধূমায়িত হতে থাকবে।
তথ্যসূত্রঃ






এইসব লোক ক্ষমতার অলিন্দে অবাধ বিচরণ করতে করতে আমাদের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে! আমরা কি সত্যিই মানুষ?
বিচারে শাস্তি কেবল দুর্বল,গরীব শ্রমজীবী মানুষের উপর নেমে আসে।