হর্ষ দাস
কেন্দ্রীয় সরকার হালে নয়া শিক্ষানীতি (New Education Policy) একতরফা ঘোষণা করেছেন। এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই সমালোচনার ঢেউ উঠেছে চারদিকে। সমালোচনার মূল জায়গা হচ্ছে, শিক্ষাকে ঘিরে সমস্ত রাজ্য সরকারের ভূমিকাকে নাকচ করা এবং ইউ.জি.সি তুলে দিয়ে জাতীয় শিক্ষাকে রাষ্ট্রীয় শিক্ষা আয়োগ (RSA) নামক একটি কেন্দ্রীয় সংগঠনের আধারে নিয়ে চলে আসা। এর কারণ হিসেবে যে যুক্তিগুলো উঠে এসেছে তা হল মূলত হিন্দি, সংস্কৃত ভাষাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার মধ্য দিয়ে এক মনুবাদী পরিকল্পনাকে ওপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া ও তার পাশাপাশি ব্যাপকহারে শিক্ষার বেসরকারিকরণ। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই এন.ই.পি (NEP) কে ঘিরে সরকারি কর্মসূচির মূর্ত চেহারাটি প্রকাশ্যে আনা বিশেষ প্রয়োজন।
আজ এন.ই.পি কে ঘিরে মনুবাদী সংস্কৃতির সঙ্গে কর্পোরেট সংস্কৃতির মেলবন্ধনের চরিত্র বুঝতে গেলে ভারতের পূর্ব প্রচলিত শিক্ষানীতি কীভাবে ১৮০° ঘুরে গেল তা সবার আগে বুঝতে হবে। সেই সূত্রে কোঠারি কমিশনের তৈরি উৎপাদনমুখী শিক্ষানীতির সঙ্গে আজকের বাজারমুখী শিক্ষানীতির অভিমুখটির তুলনামূলক বিশ্লেষণের বিশেষ প্রয়োজন আছে।
কোঠারি কমিশন:
১৯৬৬ সাল। তদানীন্তন ইউ.জি.সির চেয়ারম্যান দৌলত সিং কোঠারি যে খসড়া তৈরি করেছিলেন তা ১৯৬৮ সালে ইন্দিরা গান্ধি পুরোটা না নিলেও এই নীতিকেই কিন্তু গ্রহণ করেছিলেন। খসড়ার মূল নীতিগুলি হল-
(১) শিক্ষাকে ভারতের শিল্প ও কৃষির বিকাশের যোগ্য করে তুলতে হবে। অর্থাৎ শিল্প ও কৃষির উন্নয়ন ঘটাতে গেলে শিক্ষার যেসব পরিবর্তন ও বিকাশ প্রয়োজন তা করতে হবে।
(২) কৃষির উন্নয়ন ঘটাতে গেলে ভারতবর্ষের পিছিয়ে থাকা এলাকায় শিক্ষার বিস্তার ঘটাতে হবে অর্থাৎ দলিত ও আদিবাসী মানুষকে প্রবেশ করাতে হবে শিক্ষাব্যবস্থায়।
(৩) শিক্ষাকে ১৪ বছর অব্দি সমস্ত স্তরে অবৈতনিক করতে হবে, মাথায় রাখতে হবে আদিবাসী ও দলিতদের বিষয়ে বিশেষ দায়িত্ব নেওয়ার কথা। এটা করতে গিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যাতে বঞ্চিত না হয় সেটাও খেয়াল রাখতে হবে।
(৪) নারী শিক্ষায় জোর দিতে হবে, শুধুমাত্র সামাজিক ন্যায়ের জন্য নয়, সামাজিক পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করার জন্য।
(৫) উপরের কাজগুলো করতে গেলে এক আধুনিক কুসংস্কারমুক্ত বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের প্রয়োজন, তাই এই শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষকদের স্বাধীনতাকে স্বীকার করে নিতে হবে। শিক্ষকদের বলার, লেখার স্বাধীনতা এত দূর অব্দি বিস্তৃত থাকবে যে তারা জাতীয় কোন নীতিকে যদি সমালোচনা করেন সেটাকে ভেবে দেখতে হবে সরকারকে। পাশাপাশি কোন আন্তর্জাতিক চিন্তাকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা শিক্ষকরা ভাবেন তাহলে সেই ভাবনাকে গুরুত্ব দিতে হবে। এই কাজ করতে গেলে যাতে শিক্ষকদের স্বাধীনতা খন্ডিত না হয় সে ব্যাপারে খুবই সাবধানী ছিলেন কোঠারি। অথচ আজকের নয়া শিক্ষা নীতিতে শিক্ষকদের শুধু অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে তাই নয় তাদের সামাজিক অবস্থানও বিপর্যস্ত হবে।
কংগ্রেস আমলে পরিবর্তন:
রাজীব গান্ধীর আমলে শিক্ষানীতির কিছু পরিবর্তন আসে। শিশুশিক্ষার ওপর জোর দেওয়া হয় এবং শিশুদের স্কুলে টেনে আনার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। এই ব্যবস্থা বিশেষ গুরুত্ব পায় মনমোহন সিংয়ের আমলে মিড-ডে মিলের মধ্যে দিয়ে। এই নয়া শিক্ষানীতিটিকে পুরানো নীতির বিরুদ্ধে হাজির করা হয়েছে কিন্তু কৌশলে ভরা মোড়কে। রাজীব গান্ধীর সময় থেকে শিক্ষায় বেসরকারিকরণ শুরু হলেও পিছিয়ে থাকা মানুষদের শিক্ষার জগতে টেনে আনার ব্যাপারে সরকারের প্রচেষ্টা ছিল।
বর্তমান জাতীয় শিক্ষানীতি:
অন্যদিকে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার শিক্ষানীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ৬% জিডিপির ব্যয় বরাদ্দ করেছে যার পুরোটাই যাবে বেসরকারি খাতে, তারই ব্যবস্থা আছে এই নীতিতে। সেই কারণেই করোনা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাড়াহুড়োয় এই শিক্ষানীতিকে চাপিয়ে দিতে চাইছেন। যদিও দেশের মধ্যে এবং রাজ্য সরকারগুলির তরফ থেকে বিতর্ক রয়েছে।
সরকারি পরিকল্পনা হল শিক্ষাকে রাজ্য সরকারগুলির নিয়ন্ত্রণ থেকে সরিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে তুলে দেওয়া। এরই মধ্যে প্রায় ১০০ টি বেসরকারি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ভারতে তাদের ক্যাম্পাস খোলার জন্য। একইসঙ্গে মনুবাদী চিন্তা চাপানোর উদ্দেশ্য কোমর বেঁধে নেমেছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং এই দিকটা বুঝতে বিশ্ব পুঁজিবাদী ব্যবস্থার মধ্যেকার দ্বন্দ্বকে সামনে আনার দরকার।
বিশ্ব পুঁজিবাদী ব্যবস্থার দ্বন্দ্ব:
উৎপাদন-কেন্দ্রিক অর্থনীতিকে বাজারকেন্দ্রিক করে দেওয়ার মাধ্যমে যে ডলার আধিপত্যের যুগ শুরু হয়েছিল তা খোদ মার্কিন দেশের মধ্যেই বিরোধের সামনে দাঁড়িয়েছে। সস্তা শ্রম ও প্রকৃতি শোষণের জন্য উন্নত দেশ থেকে বড় বড় শিল্পকে ভেঙে টুকরো করে আউটসোর্স করা হয়েছিল অনুন্নত দেশে। ফলে অনুন্নত দেশ হয়ে দাঁড়ায় উৎপাদনের ক্ষেত্র আর উন্নত দেশগুলি বিক্রির বাজার। এইভাবে “গ্লোবাল লং ভ্যালু চেনের” জন্ম দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মার্কিন ট্রেজারি ও ফেডারেল রিজার্ভ ডলারকে এমনভাবে ম্যানুপুলেট করেছে যা প্রশ্নের মুখে এনেছে ডলার আধিপত্যকে এবং সেকারণেই নিরপেক্ষ “ব্লক চেন টেকনোলজির” পক্ষে দাবি বাড়ছে। কিন্তু এতে রাষ্ট্রের ভূমিকা শূন্যে পরিণত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা এবং পাশাপাশি মুদ্রা হিসেবে শক্তিশালী হয়ে ওঠার সম্ভাবনাও বাড়ছে ইউরো ও ইউয়ানের। এই ঘোর বিপদ থেকে মুক্ত হতে ট্রাম্প ও তার সহযোগীরা চাইছে, মার্কিন তাবেদার দেশগুলিকে কাজে লাগিয়ে “শর্ট ভ্যালু চেন” গড়ে তুলতে।
ভারতের সস্তা বাজার:
সুজলা সুফলা ভারতবর্ষ স্বভাবতই উর্বর জমি। একদিকে ভারতবর্ষের নগরগুলোতে আধুনিক পণ্যের বাজারের বিকাশ হয়েছে, আবার অন্যদিকে রয়ে গিয়েছে ব্যাপক দলিত ও আদিবাসীদের পিছিয়ে থাকা এলাকা। পরিকল্পনা অনুযায়ী ভারতবর্ষের বড় বড় শিল্পগুলিকে টুকরো টুকরো করে একদিকে দলিত ও আদিবাসী এলাকায় আউটসোর্স করা হবে, পাশাপাশি উন্নত শহরগুলিতে এই শ্রমজাত দ্রব্যগুলিকে টেনে নিয়ে আসা হবে ও অ্যাসেম্বল করা হবে উন্নত আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে। এই বিষয়ে অর্থ, জ্ঞান ও প্রযুক্তিগুলি জোগান দেবে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি আর এই সব পিছিয়ে থাকা এলাকায় যে স্কুল খোলা হবে তা পরিচালিত হবে আর.এস.এসের নেতৃত্বে। গুজরাটের মডেল ঠিক এইরকমই। তথ্য বলছে ত্রিপুরাতে বিজেপি ক্ষমতায় এসেই ৫৫০টি স্কুল আর এস এসের হাতে তুলে দিয়েছে।
ভিশন প্ল্যান কি বলছে:
ভিশন প্ল্যানে কমিউনিটি পার্টিসিপেশন শিরোনামে কী বলা হয়েছে দেখা যাক- “Encouragement and facilitation for philanthropic, private and Community participation”। এখান থেকে স্পষ্ট কীভাবে আর এস এস এবং বেসরকারি বিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এই শিক্ষার দায়িত্ব পাবে। সুচতুর কায়দায় এই জন্য ১০+২ স্কুল ব্যবস্থাকে পাল্টে ৫+৩+৩+৪ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে যাতে দরিদ্র সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে উচ্চশিক্ষায় প্রবেশ করা থেকে আটকানো যায়। দেখা গিয়েছে যে দরিদ্র আদিবাসী ও দলিত সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে ১১-১২ শ্রেণীর শিক্ষা চালানো অর্থনৈতিকভাবে খুবই কঠিন হয়ে ওঠে। এতদিন পর্যন্ত দশম শ্রেণীর শিক্ষা শেষ করে আই টি আই এবং ডিপ্লোমা করে তারা সরাসরি শিল্পের জগতে প্রবেশ করার সুযোগ পেত এবং সরকারি চাকরি পাবার যোগ্যতা অর্জন করত সংরক্ষণের সুযোগে। এর মূলে আঘাত করা হয়েছে। ঠিক কীভাবে এই কাজ হয়েছে দেখা যাক।
চারস্তরীয় শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য:
শিক্ষাকে যে চারটি ধাপে ভাগ করা হয়েছে সেখানে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির ব্যাপারে বিমূর্ত করে বলা হয়েছে,” with a subject oriented pedagogical and curricular Style.” কিন্তু তার আগের ধাপে অর্থাৎ প্রিপারেটরি স্টেজকে বলা হচ্ছে – “with the introduction experimental learning across the sciences, arts, social sciences and humanities”। এর মানে দাঁড়ায় যে পঞ্চম শ্রেণি অব্দি সাধারণ শিক্ষা দেওয়া হবে আগে যা দশম শ্রেণি অব্দি হত। তারপরে দু বছর ভোকেশনাল শিখিয়ে শিক্ষার সমাপ্তি ঘটনো হবে। পাশাপাশি বেসরকারি ব্যবস্থায় চলবে কোয়ালিটি শিক্ষা যা মূলত নিয়ন্ত্রণ করবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। ফলে একদিকে অষ্টম শ্রেণির পরে কায়িক শ্রমের জগতে ঠেলে দেওয়া হবে দরিদ্র দলিত, আদিবাসী ও সংখ্যালঘু শিশুদের আর অন্যদিকে প্রকৃতি লুট করে উৎপাদন ও ব্যবসা চলবে। একইসঙ্গে প্রচণ্ড এক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উচ্চ শিক্ষার জগতে চাকরির যোগ্য হয়ে উঠতে হবে ছাত্রদের। প্রযুক্তির যুগ অনেক আগেই শুরু হয়েছে। এখন কৃত্রিম মেধার (artificial intelligence) বাড়বাড়ন্ত চারদিকে। সরকারি চাকরি, উন্নত শিল্পে অর্থাৎ তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে যেখানে কৃত্রিম মেধা ব্যবহার হবে সেই সকল ক্ষেত্রে কাজ করার যোগ্য হয়ে উঠতে হবে ছাত্রদের। এইভাবে কায়িক শ্রমের জগতে নিম্নবর্গের মানুষের আর মানসিক শ্রমের জগতে উচ্চবর্ণের মানুষের প্রাদুর্ভাব বাড়বে। কায়িক শ্রমের জগতে শ্রমঘণ্টা বলে কিছুই থাকবে না। এইরকম অমানবিক শ্রম আইনের ঘেরাটোপে কাজ করার মানসিকতা আর.এস.এস তাদের ছোটবেলা থেকেই গড়ে দেবে। সেজন্যেই বলা হচ্ছে ভারতীয় আদি সংস্কৃতি ও শিক্ষাকে গুরুত্ব দিতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় সুচতুর কৌশলে “শর্ট ভ্যালু চেইনের” মাধ্যমে আর.এস.এসের স্বার্থের সঙ্গে কর্পোরেটদের স্বার্থের মিলন ঘটে যাচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কাজ কী হবে আগামী দিনে?
করোনাকালে অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে শেয়ারবাজারের এডুকেশন স্টকগুলি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। দেখা গিয়েছে এই প্যানডেমিকের সময়ে চারটে এডুকেশন স্টক CHGG, LRN, ARCE, EDU গায়ে গতরে বেশ ফুলে ফেঁপে উঠেছে। শুধুমাত্র CHGG, এপ্রিল- জুন এই তিন মাসে লাভ করেছে ১৩১.৬ মিলিয়ন ডলার। এই ব্যাপারে ম্যাসাচুসেটস-এর প্রাক্তন শিক্ষা অধিকর্তা বলেছেন, “I am hoping that we can learn some things through this crisis about online delivery of not only instructions, but an array of opportunities for learning and support. In this way, we can make the most of the crisis to help redesign better systems of education and child development.”
এখানে একথা জলের মতো পরিস্কার যে অনলাইন এডুকেশনের মধ্যে দিয়ে যে পুঁজির বিকাশের সুযোগ এসেছে আজ সেটাকে সর্বোচ্চ উপায়ে ব্যবহার করতে চাইছে করপোরেটরা। এই জন্যেই আমাদের প্রধানমন্ত্রীর এত তোড়জোড় নয়া শিক্ষানীতি নিয়ে। ভারতবর্ষেও ২০১১ সালে এক শেয়ার কোম্পানির জন্ম হয়েছে যার নাম “গ্লোবাল এডুকেশন লিমিটেড”। এরই মধ্যে এই কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪৮৩০০০। গত তিন মাসে যেখানে ভারতবর্ষের প্রত্যেকটি কোম্পানির শেয়ারের দাম পড়ছে, সেখানে ২৮শে জুলাই এই কোম্পানির শেয়ার ৪.৯৫. শতাংশ বেড়ে ১৯১ হয়েছে। এবার বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির এনডাওমেন্ট ফান্ড নিয়ে আলোচনা করা যাক। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এনডাওমেন্ট ফান্ড আছে ১৩০০০টি, যার মধ্যে দুটি বৃহৎ ফান্ডের থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন, ছাত্রদের স্কলারশিপ ইত্যাদি উঠে আসে। এই এনডাওমেন্ট ফান্ড কীভাবে কাজ করে তা অল্পকথায় দাঁড়ায় এইরকম—“Typically endowment funds follow a fairly strict a set of long-term guideline that dictate the asset allocation that will yield the targeted return without taking on too much risk.”
তার মানে এই এনডাওমেন্ট ফান্ডের একটি অংশকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করে টার্গেটের যে রিটার্ন আছে তা তুলে নিয়ে আসতে হবে খুব বেশি রিস্ক না নিয়ে। কিন্তু নয়া অর্থনীতির আগমনের পরেই যখন দেখা যায় যে অর্থনীতি “গ্লোবাল ভ্যালু চেইনের” অধীনে চলে গেল এফ.ডি.আই ফ্লোর মাধ্যমে। তখন থেকেই ইউনিভার্সিটিগুলি কর্পোরেটদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ২০১৯ সালের হিসেব অনুযায়ী হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এনডাওমেন্ট ফান্ড ৩৮.৩ বিলিয়ন ডলার। এই জন্যই প্রধানমন্ত্রী নার্সারি থেকে পি.এইচ.ডি অব্দি শিক্ষাক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা অর্থকে সরাসরি ব্যবসায়ীদের রোলের মধ্যে প্রবেশ করাতে চাইছেন। এই কাজ না হলে ভারতীয় এডুকেশনের শেয়ারবাজারের মূল্য বাড়বে না। রাজ্য সরকারের এডুকেশন কাউন্সিলগুলো তুলে দিয়ে পুরোটাই কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে এনে এই সকল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আহ্বান জানিয়ে আদানি, আম্বানির ব্যবসায়িক স্বার্থকে কীভাবে জুড়ে দেওয়া যায় তারই সুচতুর প্রচেষ্টা হচ্ছে এই শিক্ষানীতির প্রনয়ণ।
অন্যদিকে মার্কিন পুঁজিপতিরা সহজে চায়না ছেড়ে বেরিয়ে আসতে চাইছে না। কিন্তু মার্কিন সরকার চাইছে “শর্ট ভ্যালু চেইন”-এ প্রবেশ করতে। তাই মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ডেকে এনে আরও একধরনের মরিয়া প্রচেষ্টা “শর্ট ভ্যালু চেইন” যাতে মসৃণ গতিতে এগিয়ে যেতে পারে। বস্তুত বিশ্ব পুঁজিবাদ এখন এতোটাই সংকটগ্রস্ত যে তাই যে পথেই পা বাড়াবে মুখ থুবড়ে পড়বে। তাই ক্ষুদ্র অংশকে বাঁচিয়ে ভারতবর্ষ বাঁচবে না। যেহেতু নানা বর্ণ ধর্ম জাতি নিয়ে বৈচিত্র্যময় বিশাল দেশ ভারত তাই যতই হিন্দুত্ববাদী আদর্শে বেঁধে এই আক্রমণ নামিয়ে আনার চেষ্টা হোক, বিরোধ অবশ্যই থাকবে।
আগে আদর্শ ছিল শিশুদের ক্লাস ঘরে নিয়ে আসার কিন্ত এখনকার আদর্শ হচ্ছে শিশুদের ক্লাস ঘর থেকে বার করে অনলাইন এডুকেশনের নামে শিক্ষা-সংস্কৃতিকে উন্মুক্ত পুঁজিবাদের শোষণের অধীনে নিয়ে আসা।
Mr. H Das has brilliantly highlighted the core or secret mission of the new education policy. A lot of thanks to him for this writing.
But why the central govt of India is feeling very confident to implement the policy. It is not that the earlier govt. didn’t has similar intentions. We can remember the steps taken by Mr. Kapil Sibbal as HRD minister.
In my opinion it is mainly due to the continuous loosing strength of leftists in India. Because earlier they had only opposed or stopped similar anti common people moves taken by central govt. Today they are out of people mostly because of their own faults and common people are suffering.
Thank you
Khub valo kore porashona kore lekha, already IIT gulo te duto kore subject porano hobe NPTL er lecture share kore,per semester e, arthat duto kore teacher per semester e kome gelo, r jara contractual lectureŕ chilo tader discontinued koreche, eto upor level e egulo suru hoyeche, sadharan manusher ekhon gochore asche na, jokhon bhujbe takhon anekta deri hoye jabe.poriprashnar ei lekha ta joto beshi manush porbe,totoi mangal.
Thank you for valuable coments
লং ভ্যালু চেন এর সাথে শর্ট ভ্যালু চেনের তফাতটা বুঝতে চাই । ব্লক চেন টেকনোলজি আনতে চাইছে চীন এটা শুনেছি । কিন্তু এছাড়াও অন্য কোন দেশের নাম জানা আছে ? এছাড়া আলোচনা অসাধারন হয়েছে , সমৃদ্ধ হলাম । সেদিন দেবাদিত্যবাবুর তথ্যভিত্তিক বক্তব্য তার সাথে আপনার তথ্যকে মিলিয়ে তাত্বিক বিশ্লেষণ অসাধারন লেগেছে ।
Thank you for valuable coments
Long value chane is global short value chain regional