প্রকৃতির রুদ্ররূপ: বন্যা- খরা- অতিবৃষ্টি- প্লাবন ও মৃত্যু মিছিল

পোস্টটি দেখেছেন: 32 সন্তোষ সেন কয়েকদিন ধরেই প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত বাণিজ্য নগরী মুম্বাই। প্রবল বৃষ্টিতে পাঁচিল বাড়ি ঘর ধসে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৩০ জনের, জারি হয়েছে রেড অ্যালার্ট। বেশ কিছু অঞ্চল এখনো জলমগ্ন। প্রায় প্রতি বছর মুম্বাইয়ের বিস্তীর্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়। বিজ্ঞানীদের হুঁশিয়ারি– প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মের বিরুদ্ধে গিয়ে শুধুমাত্র বাণিজ্যিক স্বার্থে গড়ে ওঠা মুম্বাই নগরী […]

সন্তোষ সেন

কয়েকদিন ধরেই প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত বাণিজ্য নগরী মুম্বাই। প্রবল বৃষ্টিতে পাঁচিল বাড়ি ঘর ধসে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৩০ জনের, জারি হয়েছে রেড অ্যালার্ট। বেশ কিছু অঞ্চল এখনো জলমগ্ন। প্রায় প্রতি বছর মুম্বাইয়ের বিস্তীর্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়। বিজ্ঞানীদের হুঁশিয়ারি– প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মের বিরুদ্ধে গিয়ে শুধুমাত্র বাণিজ্যিক স্বার্থে গড়ে ওঠা মুম্বাই নগরী যেকোনো দিন জলের তলায় তলিয়ে যেতে পারে।

 কয়েকদিন আগেই মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টি ও হড়পা-বানে হিমাচল প্রদেশের ধরমশালা সহ বেশ কিছু অঞ্চল এবং উত্তরাখন্ডের একাধিক অঞ্চল বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পেয়েছি আমরা, সাথে প্রাণহানি ও নানা ক্ষয়ক্ষতির হিসেব। ফিরে এলো ২০১৩  ও ২০২০ সালের ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ে হাজার হাজার মানুষ ও গবাদি পশুর মৃত্যু এবং গ্রামের পর গ্রাম জলমগ্ন হওয়ার স্মৃতি।

  অন্যদিকে আমাদের রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গে ও দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে শ্রাবণ মাসের মধ্যেও বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আশানুরূপ নয়। কম বৃষ্টিপাতের কারণে আমন ধান রোয়া ও পাট পচানোর ক্ষেত্রে চাষিরা সমস্যায় ভুগছেন। এই বছরের মে মাসে আবার দেখলাম ইয়াসের হাত ধরে প্রবল বৃষ্টিপাত ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি। গত বছরের উমপুন ও তার আগে একাধিক দানবীয় ঘূর্ণিঝড়ে জনজীবন ও অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়েছে বারে বারে। বিজ্ঞানীদের দাবি– পরিবেশ দূষণ এবং সমুদ্রের জলস্তরের উষ্ণতা ও উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার জন্য আরবসাগর ও বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা ও বিধ্বংসী ক্ষমতা অনেক বেড়ে গেছে। বিগত কয়েক বছর ধরে ভারতবর্ষ সহ পৃথিবীর বেশ কিছু অঞ্চলে বজ্রপাতের সংখ্যা ও তীব্রতা বেড়েছে, মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে।

 তিন দিকে সাগর ও উত্তরে হিমালয় পর্বত বেষ্টিত ছয় ঋতুর সমাহার ও জীববৈচিত্র্যে ভরপুর ভারতবর্ষের জলবায়ু ও ঋতুচক্র আজ বিধ্বস্ত- বিপর্যস্ত। এক ভয়ংকর সর্বনাশা দুর্যোগের দিকে এগিয়ে চলেছি আমরা।

 এই বছরের জুন মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে তীব্র তাপ-প্রবাহে কানাডা ও আমেরিকার একাংশে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রিও ছাড়িয়ে গেছে ( অথচ জুন-জুলাই মাসে এখানকার তাপমাত্রা সাধারণত ১৬-১৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকে)। মৃত্যুর সংখ্যা হাজার পেরিয়েছে। অন্যদিকে দক্ষিণ-পূর্ব ক্যালিফোর্নিয়ার মোজেভ মরুভূমিতে তাপমান ৫৪ ডিগ্রী সেলসিয়াসে পৌঁছে গেছে। তাপপ্রবাহের হাত ধরে একাধিক দাবানলে কয়েক কোটি বন্যপ্রাণ ও সামুদ্রিক প্রাণীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।  আমেরিকার বেশ কয়েকটি জঙ্গল আগুনের লেলিহান শিখায় দাউদাউ করে জ্বলছে এখনো।

ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৫০-ডিগ্রি। এর হাত ধরে এক বিধ্বংসী দাবানলে লাইটন গ্রামের ৯০ শতাংশ ভস্মীভূত হয়ে গেছে।

আবার পশ্চিমে ইউরোপের জার্মানি, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত। জুলাই মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৯৬ (যা আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে), নিখোঁজ বহু মানুষ। বিরামহীন অতিবৃষ্টিতে বহু নদী দুকূল ছাপিয়ে প্লাবিত করেছে কয়েকশ গ্রাম ও শহর। বন্যা-প্লাবিত

কয়েকটি অঞ্চল পরিদর্শন করে জার্মানির চ্যান্সেলর বলেছেন- এই ক্ষয়ক্ষতি প্রকাশ করার কোন প্রতিশব্দ জার্মান পরিভাষায় নেই। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাম শহরের মেরামতির জন্য তিন বিলিয়ন ইউরো সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

 প্রকৃতির একই অঙ্গে এত রূপ কেন:

 এসব বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা জলবায়ুর পরিবর্তন, জীবাশ্ম জ্বালানির অত্যধিক ও অপরিমিত ব্যবহার, বায়ু-জল ও সমুদ্রের দূষণ এবং বিশ্ব উষ্ণায়নকেই দায়ী করছেন। যার পিছনে আবার কাজ করছে মুষ্টিমেয় বহুজাতিক কর্পোরেটের পাহাড়প্রমাণ মুনাফার স্বার্থে সরকারি মদতে বন ধ্বংস, খনিজ সম্পদ সহ জল জঙ্গল জমিন লুঠের পাকাপাকি বন্দোবস্ত। অন্যদিকে তথাকথিত ছিন্নমস্তা উন্নয়ন ও নগরায়নের নামে চলছে নির্বিচারে সবুজ বনানী ধ্বংস ও পুকুর-জলাশয় বুজিয়ে কংক্রিটের জঙ্গল গড়ার পরিকল্পনা। বিগত কয়েক বছর ধরে বিজ্ঞানীরা বলে আসছেন–জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রবল বর্ষণ ও বন্যার পরিমান বাড়বে। ভুউষ্ণায়নের কারণে গরম বাতাস প্রচুর পরিমাণে জলীয়বাষ্প শুষে নিয়ে প্রবল ধারায় বৃষ্টিপাত ঘটাচ্ছে। বন্যা বিধ্বস্ত অঞ্চলগুলোতে মেরামতির কাজে বছরে ৪৮ বিলিয়ন ডলার খরচ হবে এবং আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা চার লক্ষে পৌঁছে যাবে (European Commission’s Joint Research Center)।

‘আই পি সি সি’র রিপোর্ট সহ বিজ্ঞানী ও পরিবেশ কর্মীদের দাবি — এভাবে চলতে থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যেই এক ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় নেমে আসবে পৃথিবীর বুকে। কোথাও খরা, কোথাও বা অতিবৃষ্টি ও প্লাবনের প্রভাবে চাষাবাদ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়বে। লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা পরবেন। বিশেষ করে উপকূলবর্তী অঞ্চল থেকে কয়েক কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত ও ভূমিহীন হয়ে অন্যত্র পালিয়ে যেতে বাধ্য হবেন। এশিয়ার বেশ কিছু বড় শহর, যেমন বোম্বে কলকাতা ঢাকা ইন্দোনেশিয়া সহ পৃথিবীর একাধিক উপকূলবর্তী অঞ্চল জলের তলায় তলিয়ে যাবে।

পরিবেশগত উদ্বাস্তু- এক ভয়ানক ভবিষ্যতের আখ্যান:

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন বিজ্ঞানীর সম্মিলিত সমীক্ষা-রিপোর্ট অতি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ‘অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স জার্নালে’ (The Gurdian, 5.5.2020)। রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, বিশ্বের গড় তাপমাত্রা প্রতি এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির জন্য একশো কোটিরও বেশি মানুষ স্থানচ্যুত- বাস্তুচ্যুত হতে বাধ্য হবেন, কিংবা তাঁরা গরমের জ্বালায় দগ্ধ হবেন। বাতাসে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ বর্তমান হারে চলতে থাকলে যে সমস্ত অঞ্চলগুলোতে পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশ মানুষই বসবাস করেন, সেইসব জায়গায় তাপমাত্রা আগামী ৫০ বছরের মধ্যে সাহারা মরুভূমির উষ্ণতম অঞ্চলের  সমান হয়ে যাবে। সমীক্ষকদল বলছেন যে তাঁরা এই চিত্র দেখে সম্পূর্ণভাবে বিচলিত- বিমর্ষ হয়ে পড়েছেন, কারণ মানব প্রজাতির উপর এই মাপের বিপর্যয় তারা আশা করতে পারেন নি। মানব প্রজাতির অধিকাংশই বসবাস করেন পৃথিবীর এমন সব দেশে বা অঞ্চলে যেখানে বার্ষিক গড় তাপমাত্রা থাকে ৬ থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। আর এই গড় তাপমাত্রা হলো মানুষের জীবনযাপন, স্বাস্থ্যরক্ষা ও চাষবাসের জন্য আদর্শ। কিন্তু মানুষেরই তৈরি ‘গ্লোবাল হিটিং’ এর জন্য এই আদর্শ ব্যবস্থা দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে (যা অতি সম্প্রতি কানাডা আমেরিকা ও পৃথিবীর বেশ কিছু অঞ্চলে লক্ষ্য করা যাচ্ছে)। যাকে সমীক্ষক দল বলছেন বসবাসের অযোগ্য (Near Unliveable)। যেহেতু পৃথিবীর জনসংখ্যার একটি বড় অংশ বসবাস করেন আফ্রিকা ও এশিয়ার মত উষ্ণ অঞ্চলে, তাই বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা– এই শতকের শেষ নাগাদ পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা তিন ডিগ্রি বেড়ে গেলে উষ্ণ অঞ্চলে বসবাসকারী বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অন্তত ৩০ শতাংশই অত্যধিক তাপমাত্রা ও তীব্র দাবদাহের সম্মুখীন হবেন, তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন চূড়ান্তভাবে বিপর্যস্ত হবে। এইসব গবেষণা-সমীক্ষার উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানীরা স্পষ্টভাবে জানাচ্ছেন– আগামী ৫০ বছরের মধ্যে ভারত , নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, সুদানের মত প্রত্যেকটি দেশের গড়ে ১০ কোটি করে মানুষ সাহারা মরুভূমিতে বসবাস করার মতো অবস্থায় পৌঁছে যাবেন। বাড়বে ভিটেমাটি ছেড়ে অন্য অঞ্চলে পালাতে বা দেশান্তরী অর্থাৎ উদ্বাস্তু (Climate refugee) হতে বাধ্য হওয়া মানুষজনের সংখ্যা। কোটি কোটি কীটপতঙ্গ, বন্যপ্রাণ ও সামুদ্রিক জীব মারা পড়বে ( প্রাণের এই মৃত্যু মিছিল এরমধ্যেই আমাদের উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে)। বিভিন্ন তথ্য/ গবেষণা বিশ্লেষণ করে জাতিসংঘ জানাচ্ছে –২০৫০ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে পরিবেশ উদ্বাস্তুর সংখ্যা এক বিলিয়ন তথা ১০০ কোটিও ছাড়িয়ে যাবে।

অত্যধিক তাপমাত্রা, তীব্র তাপপ্রবাহ, খরা, বন্যা, অতিবৃষ্টি-প্লাবন, দানবীয় ঝড়ঝঞ্ঝা একদিকে যেমন কোটি কোটি মানুষকে শিকড়চ্যুত- বাস্তুচ্যুত- দেশান্তরী হতে বাধ্য করবে অন্যদিকে এইসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঐ ঐ অঞ্চলের চাষাবাদের উপর, পানীয় জলের যোগানের উপর ভয়ানক প্রভাব ফেলবে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে এইসব বিপর্যয়ের ফলে সবচেয়ে বেশি করে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন নিম্নবিত্ত, খেটে খাওয়া গরিব মানুষজন, নির্মাণ শিল্পের শ্রমিক, ছোট কৃষক, ভাগচাষী সহ সমাজের প্রান্তিক মানুষজন।

আরও পড়ুন : বজ্রপাতের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে কেন?

আসুন, সকলে মিলে হাত লাগাই প্রকৃতির পুনরুদ্ধারে:

পণ্য-সর্বস্ব ভোগবাদী উৎপাদন ব্যবস্থা মানুষকে প্রকৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন করছে, পাশাপাশি মানুষে মানুষে বিচ্ছিন্নতা বাড়ছে। মানুষ ছুটছে টাকার পিছনে-প্রকৃতি বিযুক্ত স্বার্থপর ব্যক্তি মানুষে পরিণত হচ্ছে। প্রাণ প্রকৃতি পরিবেশ ধ্বংস করে নতুন নতুন বিনিয়োগ, উৎপাদন ও মুনাফার দুষ্টচক্রে আবর্তিত হচ্ছে গোটা সমাজ– বাড়ছে বিপাকীয় ফাটল। কর্পোরেটিয় উৎপাদন ব্যবস্থার হাত ধরে কৃষিব্যবস্থাও আজ গভীর সংকটে- সামগ্রিক কৃষি বাস্তুতন্ত্র ধ্বংসের মুখে। অতি উৎপাদনশীল হাইব্রিড ফলনের জন্য রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে যথেচ্ছভাবে (এই সেঁকো বিষ খাদ্য শৃঙ্খলে ঢুকে মানুষের রোগ-ভোগ বাড়িয়েই চলেছে),    মাটির তলার জলস্তর কমতে কমতে তলানিতে ঠেকেছে। এখনো কি সময় আসেনি– প্রকৃতিকে ধ্বংস না করে শুধুমাত্র মানুষের প্রয়োজনে কৃষকের চিরাচরিত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দেশীয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ করার নতুন ভাবনায় জারিত হওয়ার? শুধুমাত্র বাজারের স্বার্থে জল জঙ্গল জমিন নির্বিচারে লুঠ করে এতো এতো উৎপাদনের আদো কি কোন প্রয়োজন আছে? বিজ্ঞান প্রযুক্তির অভিনব বিকাশকে বাণিজ্যিক স্বার্থে কাজে না লাগিয়ে নিয়োজিত করা হোক মানব কল্যানে, প্রকৃতির পুনরুদ্ধারে।

মানব সভ্যতা প্রবেশ করেছে মনুষ্য-সৃষ্ট ষষ্ঠ গণবিলুপ্তির যুগে। এর আগে পাঁচ পাঁচ বার প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস হয়েছে পৃথিবীর বুক থেকে। সবকটিই ছিল প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে। কিন্তু ষষ্ঠ গণবিলুপ্তির পিছনে মানুষের লোভ-লালসাই প্রধান দায়ী। ধ্বংসের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আমরা কি নতুন করে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বিপর্যস্ত প্রাণ প্রকৃতি পরিবেশ মেরামতির কাজে হাত লাগাব না? বিশ্বজুড়েই ছাত্র-ছাত্রী, কিশোর বাহিনী, বিজ্ঞানী, পরিবেশকর্মীরা কিন্তু পথে নেমেছেন পরিবেশ ঠিক করার দাবিতে। বর্তমান সময়ে আমাদের সকল সামাজিক আন্দোলনের ভাবনা হোক– এই নীল গ্রহে মানব সভ্যতা ও জীববৈচিত্র্যকে টিকিয়ে রাখার লড়াই। প্রতিটি রাজনৈতিক দল এগিয়ে আসুন এই ভাবনা নিয়ে। মুনাফা- সর্বস্ব ভোগবাদী বাজারি অর্থনীতির বাইরে বেরিয়ে প্রকৃতির পুনরুৎপাদনের দাবি সামনে আসুক নিজেদের ও পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যতকে সুরক্ষিত করার স্বার্থে। পরিবেশ বাঁচানোর প্রতিটি স্থানীয় লড়াই ডালপালা মেলে যুক্ত হোক আন্তর্জাতিক আঙ্গিনায়।।

Links:

https://www.sciencemag.org/news/2021/07/europe-s-deadly-floods-leave-scientists-stunned

https://www.theguardian.com/world/2021/jul/19/deaths-mumbai-monsoon-rains-landslide-india

https://www.bbc.com/news/world-us-canada-57665715

লেখক পরিচিতি:

বিজ্ঞান শিক্ষক, বিজ্ঞান ও পরিবেশ কর্মী।

Contact:  santoshsen66@gmail.com

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top