সন্তোষ সেন
2021 সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল সকলের জানা। উদ্বেগের বিষয় হলো- 2016 সালের নির্বাচনে “বাম ও কংগ্রেস জোট”এর আসন সংখ্যা ছিল 77, যা এবারে নেমে গেল শূন্যে। 1946 সালের পর থেকে এই প্রথম বিধানসভায় বামেদের কোনো প্রতিনিধি থাকল না। কিন্তু কেন এমনটা হল? উত্তর খুঁজতে গিয়ে কয়েকটি বিষয় সামনে আসছে।
এক: বামেদের ফেলে আসা রিলিফ তথা জনকল্যাণমুখী কাজকর্মের স্পেস দখল করে নিল তৃণমূল সরকার এবং প্রশাসনকে বিকেন্দ্রীকরণ করে জেলায় জেলায় এমনকি জনগণের দুয়ারে নিয়ে আসা হলো।
দুই: জনদরদি কাজকর্ম ও বাম সরকারের ভূমি সংস্কারের (যত অসম্পূর্ণই হোক না কেন) হাত ধরে গ্রামীণ সমাজে এক নতুন হিউম্যান ক্যাপিটাল বা মানব পুঁজির জন্ম হয়েছে। বামেরা এই পুঁজিকে কাজে না লাগিয়ে শিল্প-পুঁজি বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্যাপিটাল এর মধ্য দিয়ে কর্মসংস্থানের চেষ্টা করতে গিয়ে ব্যর্থ হলেন।
তিন: আজকের সমাজের প্রধান দ্বন্দ্ব—পুঁজি ও প্রকৃতির দ্বন্দ্ব (Capital- Nature contradiction) কে বামেরা ধরতে পারেন নি, বরং সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামে তারা শিল্প-পুঁজিকে আহবান করে কর্পোরেটদের পক্ষেই দাঁড়িয়ে গেলেন। এই তিনটি বিষয় একটু বিশদে আলোচনার চেষ্টা করব এই ছোট নিবন্ধে।
জনবাদি কর্মসূচি ও প্রশাসনের বিকেন্দ্রীকরণ:
CPIM র পার্টি দলিলের112 ও 114 নম্বর ধারায় উল্লেখ ছিল- রাজ্যে রাজ্যে ক্ষমতায় এলে তারা মানুষকে কিছুটা রিলিফ দেওয়ার জন্য জনকল্যাণমুখী সরকার গঠন করবে। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিশেষ করে 1980 এর শুরুর দিক থেকে জনগণকে রিলিফ দেওয়ার কর্মসূচিকে পাখির চোখ করে নিল বামফ্রন্ট সরকার। বামেদের ফেলে আসা এই স্পেস দখল করে নিল তৃণমূল সরকার–কন্যাশ্রী যুবশ্রী সবুজসাথী , দু টাকার বা বিনে পয়সায় রেশন এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের মধ্য দিয়ে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি প্রশাসনকে নবান্ন থেকে জেলায় জেলায় ছড়িয়ে দিলেন। শেষ পর্যন্ত জনগণের দুয়ারে সরকারকে নিয়ে গেলেন। এর মধ্য দিয়ে বামেদের রিলিফ কর্মসূচির সাথে একটা গুণগত পার্থক্য ঘটে গেল। প্রশাসনিক কাজকর্ম ও সরকারী দান-খয়রাত সরাসরি পৌঁছে গেল মানুষের হাতে। অথচ বামফ্রন্ট সরকারের আমলে এর সুযোগ পেতে মানুষকে প্রশাসনিক হয়রানি এবং দলতন্ত্রের মুখোমুখি হতে হয়েছে অনেক বেশি করে। তৃণমূল সরকারের এইসব জনদরদি কর্মসূচির সমর্থন বামেরা করতে পারলেন না এবং উন্নত কোন মতাদর্শও হাজির করতে পারলেন না। বরং দুর্নীতি ও স্বজনপোষণকেই প্রধান হাতিয়ার করলেন এবং জনবিচ্ছিন্ন হলেন।
হিউম্যান ক্যাপিটালের উত্থান:
বামফ্রন্ট সরকারের ভূমি সংস্কার ও নানাবিধ সংস্কার কর্মসূচি এবং তৃণমূল সরকারের দশ বছরের শাসন ক্ষমতায় জনদরদি নানান প্রকল্পের সুযোগ পেয়ে গ্রামীণ সমাজে মানব-পুঁজির জন্ম হলো। কন্যাশ্রী প্রকল্পের হাত ধরে স্কুল-ছুট মেয়েদের সংখ্যা এবং মেয়েদের বাল্যবিবাহের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে কমল। আগ্রহীরা এই বিষয়ে তথ্যানুসন্ধান করতে পারেন। কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুযোগ পাওয়া অনেক মেয়েই প্রথম ভোটার হলেন এবারের নির্বাচনে। গ্রামীণ সমাজ-রাজনীতিতে মেয়েরা এগিয়ে এলেন অনেক বেশি করে। এবারের নির্বাচনে মহিলাদের ভোটদানের হারও অনেক বেশি। বামেরা নারী শক্তির এই উত্থানকে অ্যাড্রেস করতে পারলেন না। যদিও রেড-ভলেন্টিয়ার্স এর ছেলে মেয়েরা দিনরাত এক করে মানুষের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু সিপিএম এদের কাছে কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি হাজির করতে পারলেন না। প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠি কবেই বলেছেন- ” গ্রামের স্বাস্থ্যব্যবস্থার বেহাল দশা ঠিক করতে প্রচুর সংখ্যক হেলথ ওয়ার্কার বা স্বাস্থ্যকর্মীর প্রয়োজন পড়বে”। অথচ এই দাবিকে সামনে আনলেন না বামেরা। বাস্তবসম্মত দাবি হওয়া উচিত ছিল- গ্রামীণ সমাজে উঠে আসা হিউম্যান ক্যাপিটালকে স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে প্রশিক্ষিত করে নিয়োগ করতে হবে।
শিল্প-পুঁজির যুগ না অন্য কিছু?
এ কথা অনস্বীকার্য যে এবারের নির্বাচনে বামেরা কর্মসংস্থান ও কাজের দাবিকে সামনে এনেছেন। কিন্তু কোথায় কিভাবে আজকের দিনে কর্মসংস্থান বাস্তবত সম্ভব তা বিবেচিত হলো না। আগেই বলেছি স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর জন্য স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ ও গ্রামীণ হাসপাতাল / স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মাণের দাবিকে সামনে আনা হলো না। আজকের ফিনান্স-পুঁজির যুগে বিশ্বজুড়েই বড় বড় কারখানাগুলো ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করা হচ্ছে। বিভিন্ন দেশের / অঞ্চলের উৎপন্ন সামগ্রীকে অ্যাসেম্বল করা হচ্ছে অন্য আর এক দেশে। সরকারি বা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও কারখানাগুলোকে হয় গুটিয়ে ফেলা হচ্ছে বা বেসরকারিকরণ করা হচ্ছে। দেশে বর্তমানে নব্বই শতাংশের বেশি মানুষ অসংগঠিত শিল্পের শ্রমিক। অথচ 2000 সালের শেষের দিক থেকে সরকারি বামেরা রিলিফ বা পুনর্বণ্টনের কর্মসূচি ছেড়ে শিল্পপুঁজির দিকে ঝুঁকে পড়লেন। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামে যথাক্রমে টাটা-গোষ্ঠী ও বহুজাতিক সালেমদের ডেকে আনলেন জমিহারা কৃষক, প্রান্তিক চাষী, ভাগচাষি, বিজ্ঞান ও পরিবেশ কর্মী সহ সমস্ত গণতান্ত্রিক মানুষের সব বিরোধিতা উপেক্ষা করেই। বামেদের কর্পোরেটমুখী এই নীতির বিরুদ্ধে মমতা সরাসরি দাঁড়িয়ে গেলেন। সাথে যুক্ত হলো বামেদের তিন দশকে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার ও নানা অগণতান্ত্রিক কাজকর্ম ও দলতন্ত্রে জর্জরিত- বিরক্ত মানুষজনের সার্বিক সমর্থন। 34 বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটল। বামেরা কিন্তু এখান থেকে কোন শিক্ষাই নিলেন না। বর্তমান যুগ শিল্প-পুঁজির যুগ নয় (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও বিজ্ঞান প্রযুক্তির অভূতপূর্ব বিকাশের হাত ধরে যা আরো বেশি করে বাস্তব)– এটা বামেরা বুঝলেন না। তাই 2021 সালের নির্বাচনের প্রাক্কালে সিঙ্গুর থেকে তাদের পদযাত্রা শুরু করলেন– ক্ষমতায় এলে টাটা গোষ্ঠীকে ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকার করে। একবারও ভাবলেন না– তাদের বড় সাধের ন্যানো-প্রকল্প গুজরাটের সানন্দে গিয়েও মুখ থুবড়ে পড়েছে। অন্যদিকে কৃষিভিত্তিক শিল্পের উপর গুরুত্ব না দেওয়ায় কৃষক সমাজ বামেদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন।
পুঁজি ও প্রকৃতির দ্বন্দ্ব:
আজকের যুগের প্রধান দ্বন্দ্ব– ক্যাপিটাল- নেচার কন্ট্রাডিকশনকে বামেরা ধর্তব্যের মধ্যেই আনলেন না। এই প্রেক্ষাপটে আমরা পরিবেশ বিপর্যয়ের দিকে চোখ ফেরাব। কর্পোরেটের আরো আরো মুনাফা ও তাদের পুঁজির চলন বজায় রাখার স্বার্থে সারা বিশ্বজুড়েই জল জঙ্গল জমিন লুঠের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে সরকার-প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদতে। প্রাণ প্রকৃতি পরিবেশ আজ বিধ্বস্ত বিপর্যস্ত। বাজার-সর্বস্ব ভোগবাদী পণ্য উৎপাদনের যাঁতাকলে মানুষ আরো বেশি করে প্রকৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন হচ্ছেন। নির্বিচারে বন-ধ্বংস, সবুজ নিধন ও বায়ু দূষণের কারণে মানুষের রোগ অসুখ দিন দিন বাড়ছে। করোনার মত জুনোটিক ভাইরাসের আক্রমণে মানুষ নাজেহাল। এই ধরনের ভাইরাস- ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ, ডায়াবেটিস, ফুসফুসের রোগ, ক্যান্সার সহ অন্যান্য রোগ অসুখ দিনদিন বাড়ছে এবং বাড়বে। ষষ্ঠ গণবিলুপ্তির যুগে প্রবেশ করেছে মানব-সভ্যতা। এই আবহে সমাজ জুড়েই আজকের প্রধান দাবি হওয়া উচিত– বিপর্যস্ত প্রাণ-প্রকৃতি-পরিবেশকে মেরামতি করতে রাষ্ট্র-নায়কদের এগিয়ে আসতে হবে। এক কথায় মেটাবলিক রিফ্টের বিজ্ঞানসম্মত সমাধান জরুরী। এটা করতে হলে প্রচুর মানুষ নতুন করে কাজের সুযোগ পাবেন- বনসৃজন, পুকুর নদী-নালা জলাভুমির সংস্কার এবং বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া কুড়ি বিলিয়ন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস পুনরুৎপাদন করার প্রকল্পে। পাশাপাশি জরুরি– সমুদ্রের তলায় বিষাক্ত শ্যাওলা (Algal bloom) পরিষ্কার করে নতুন শ্যাওলার চাষ করা, যা সামুদ্রিক জীবের অক্সিজেন সরবরাহ সহ সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রকে মেরামত করবে। পরিবেশকে ঠিক করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যখাতে প্রচুর বিনিয়োগ করে মানুষকে রোগমুক্ত করতে হবে। দেশের বাজেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় বরাদ্দ বাড়াতে হবে। এই দাবিগুলো জোরের সাথে সামনে আনতে পারলে কর্মসংস্থানের দাবি বাস্তবসম্মত হবে। কর্পোরেটদের ওপর উচ্চহারে ট্যাক্স আদায় করেই এই কাজগুলো সমাধা করার দাবি তুলতে হবে।
বিপর্যস্ত প্রকৃতি পরিবেশকে মেরামত করার দাবিতে সারা পৃথিবী জুড়েই স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রী, দামাল কিশোর কিশোরী, যুবা বাহিনী, বিজ্ঞান ও পরিবেশ কর্মীরা পথে নেমেছেন। অন্যদিকে সরাসরি কর্পোরেটেদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছেন কৃষক আন্দোলনের সংগ্রামী সাথিরা। এই লড়াই আন্দোলনগুলিকে সংহত করে শ্রমিক আন্দোলনের সাথে মেলানোর উদ্দ্যোগ নিতে হবে। আমেরিকায় জো বাইডেনরা ক্ষমতায় আসার পর অয়েল-লবির বিরুদ্ধে গিয়ে গ্রিন টেকনোলজির কথা সামনে আনতে বাধ্য হচ্ছেন কেন তা সঠিকভাবে বুঝতে হবে।
পরিশেষে:
বামেদের ভরাডুবি প্রসঙ্গে আমাদের উত্থাপিত প্রাথমিক প্রশ্ন ও আজকের সময়োচিত দাবি নিয়ে আমরা কতগুলো নির্দিষ্ট প্রস্তাবনা সামনে আনলাম। সমস্ত বামপন্থী শক্তি, সমাজকর্মী, অধিকার আন্দোলনের কর্মী, বিজ্ঞান ও পরিবেশ কর্মী সহ সমাজের সকল স্তরে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক হোক। সমাধানের রাস্তা ঠিক বেরোবেই বেরোবে।
লেখক পরিচিতি:
বিজ্ঞান শিক্ষক, বিজ্ঞান ও পরিবেশ কর্মী।
Contact: santoshsen66@gmail.com






আমি শেষ সিদ্ধান্তের সাথে একদমই একমত নই…ওই পিকেটির কর আদায় করে চিরায়ত পুজিবাদী ব্যবস্থা বাচানোর প্রয়াস সফল হতে পারে না
আগ্রহোদ্দীপক আলোচনা, প্রাঞ্জল উপস্থাপনা।এই মুহুর্তে দুটো প্রশ্ন মনে আছে।এক, রাজ্যে রাজ্যে ক্ষমতায় এসে বিদ্যমান কাঠামোর মধ্যে থেকে জনগনকে কিছুটা রিলিফ দেওয়ার কথা যা আমাদের আলোচ্য বামেরা করে থাকেন তা অন্যেরা করতে পারলে বা অন্তত জনগন যদি মনে করেন বর্তমান সরকার সেটাই করছে তবে তাদের শুধু চালচোর তকমা দিয়ে নস্যাৎ করা যায় কিনা,বা পার্থক্য কোথায়,যখন দুর্নীতি এই ব্যবস্থার এক অবশ্যাম্ভাবী অঙ্গ হিসেবেই মানুষ দেখেন বলেই মনে হয়।রিলিফ দেওয়া যদি বিষয় হয়,তবে মাপকাঠি দক্ষতা না হয়ে শুধু রিলিফদাতার সাইনবোর্ড হবে কেন,এ প্রশ্ন ওঠাও স্বাভাবিক।দুই,বিদ্যমান আর্থ-রাজনৈতিক কাঠামোয় জনকল্যাণমুখী কর্মসূচি, শিল্পায়ন,কর্মসংস্থানসহ সুষ্ঠ প্রশাসন শান্তিশৃঙ্খলা বজায় ইত্যাদির জন্য তথাকথিত বামপন্থিরা জনগনের কাছে কোন মাপকাঠিতে অধিক উপযুক্ত,যদি এর সঙ্গে জনগনের অধিকার রক্ষার সংগ্রামের প্রসার,বামপন্থি চেতনার বিকাশ ইত্যাদি ইত্যাদি বিষয়গুলি জুড়ে দেওয়া হয়,তাহলে চৌত্রিশ বছরে সেগুলির অবক্ষয়য়ের যুক্তি কি।সংক্ষেপে এটুকুই।
বর্তমান রাষ্ট্র ব্যাবস্থার প্রেক্ষিতে নাগরিক সমাজ বা সিভিল সোসাইটি এর ভূমিকা অধিক গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিনের বাম শাসনে অংশগ্রহণের একরৈখিক পদ্ধতি অপেক্ষা তা কিছুটা ভিন্ন এবং প্রশংসনীয়।বর্তমান সরকারের জনসংযোগ খুব গুরুত্বপূর্ণ। বাম চেতনার বিকাশ কোথাও থমকে গেছে কানো না তার প্রেক্ষিত মোটেই ভারতীয় সমাজের অনুকূল নয়।সমাজতন্ত্র স্থাপন করতে গেলে দেশের অনুকূল পরিস্থিতি গুর তোলা আবশ্যক।বিদেশের উদাহরণে কাজ হবে না।মার্কস বাদ এর মর্ম সত্য অনেক বামেদেরি সঠিক উপলব্ধি নেই।এবং তার কার্যকারিতাও ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে অক্ষম হয়েছেন বর্ষীয়ান নেতা গণ।