সাধন কুমার ঘোষ
পরিবেশ ও অর্থনীতির সম্পর্ক:
আমরা জানি শিল্প বিপ্লবের হাত ধরে পৃথিবীর উৎপাদন ব্যাবস্থায় ঘটে আমূল পরিবর্তন ও তারপর থেকেই উৎপাদন ব্যাবস্থায় নিয়ন্ত্রনের ভূমিকায় চলে আসে মূলত মুনাফাভিত্তিক পণ্য উৎপাদনকারী পুঁজিবাদী অর্থনীতি। মানব ইতিহাসের সুদীর্ঘ পর্যায়ে এই ধনতন্ত্রের অস্তিত্বকে মুহুর্তের সঙ্গে তুলনা করা যায়, কিন্তু এই স্বল্প সময়েই সে একটি বৈশ্বিক শক্তিতে পরিণত, তার অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ আমাদের পরিবেশ পরিমন্ডলকে ফেলে দিয়েছে এক গভীর জটিল আবর্তে। পুঁজিবাদী উন্নয়নের মূলে যে অর্থনৈতিক গতিশীলতা, সেটাই ক্রমে পরিণত হয়েছে জলবায়ু সংকটের চালিকা শক্তিতে। অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ সচল রাখতে প্রয়োজন শক্তি বা এনার্জি, যা আবার পুরোপুরি পরিবেশের উপর নির্ভরশীল। এই এনার্জির মূল যোগানদার এতদিন পর্যন্ত ছিল বা এখনও আছে, জীবাশ্ম জ্বালানি, আর পুঁজিবাদী অর্থনীতি যে আজ ডমিনেন্ট শক্তিতে পরিণত হতে পেরেছে সেটাও এই জীবাশ্ম জ্বালানির দৌলতেই। মুলত জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার করেই পুঁজিবাদী অর্থনীতির বিকাশ ঘটেছে। ফলে একদিকে সেটা যেমন বায়ুমণ্ডলে গ্রীনহাউজ গ্যাসের পরিমাণ বাড়িয়ে বিশ্বে উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণ হয়েছে অন্যদিকে অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ জনিত উৎপাদিত বর্জ্য পরিবেশ-এর ভারসাম্য বিনষ্ট তথা বিপাকীয় ফাটল বৃদ্ধি করে চলেছে। আবার এসব কিছুর সঙ্গে ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া প্রভৃতি রোগসৃষ্টিকারী প্যাথোজেনের ছড়িয়ে পড়ার সম্পর্ক থাকার সম্ভাবনাও প্রবল, এটাও আমরা বুঝতে পারছি। সবমিলিয়ে বিশ্ব উষ্ণায়ন যে মানবসভ্যতার কাছে একটা catastroph বা বিপর্যয় রূপে দেখা দিতে চলেছে এ বিষয়ে বিজ্ঞানীদের সন্দেহ নেই। তাঁরা সাবধান করে বলছেন — এই মুহূর্তেই কার্বন নিঃসরণ দ্রুত কমিয়ে আনতে না পারলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে পারে।
উষ্ণায়ন নিয়ন্ত্রণে এনার্জির কার্যকারিতা:
আজকের বিশ্বের প্রয়োজনীয় এনার্জির প্রধান উৎস জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প অনুসন্ধান বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদরা করে চলেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে নবায়নযোগ্য বা রিনিউএবল এনার্জি তথা গ্রীন এনার্জি হিসেবে যেগুলির কথা ভাবা হচ্ছে যেমন সোলার এনার্জি, বায়ু শক্তি, ভূ-তাপ, সমুদ্র তরঙ্গ, জোয়ার ভাটা, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ ইত্যাদি উৎসগুলি কি ফসিল নির্ভরতা কমিয়ে কার্বন নিঃসরণ মুক্তি ঘটাতে সক্ষম হবে। একথা ঠিক নবায়নযোগ্য এনার্জির ব্যবহার নিঃসন্দেহে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনতে সক্ষম। কিন্তু উৎপাদন প্রক্রিয়ায় কাঠামোগত পরিবর্তন ছাড়া এতে সাফল্য মেলা কি আদৌ সম্ভব? অন্তত সাময়িক সাফল্য নিয়েও সন্দেহ থেকে যায়। এই অর্থনৈতিক কাঠামোয় এনার্জির এই উৎসগুলি কেবলমাত্র শক্তির আরও একটি উৎসই (energy pot) হতে পারে। আমরা জানি পুঁজিবাদী উৎপাদন প্রক্রিয়ার মুলে রয়েছে মুনাফা, পুঁজির ধর্মই হলো ক্রম সঞ্চয়ন, তাই মুনাফা বৃদ্ধি ও মুনাফা বজায় রাখতে তাকে বাজারের প্রসারণ তথা অর্থনীতির প্রসারণ করে যেতে হয়। সুতরাং প্রযুক্তির উন্নয়ন, এনার্জি এফিসিয়েন্সির মতো গ্রীন এনার্জিও আসলে অর্থনীতির বৃদ্ধির কাজেই ব্যবহৃত হবে ও মোটের উপর এনার্জির ব্যবহারই বাড়িয়ে দেবে।
গ্রীন নিউ ডিল (GND) জাতীয় রিফর্ম প্ল্যানও তাই পুঁজিবাদী ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবে না। আজকের কনজিউমার ক্যাপিটালিজমের দিকে তাকালে আমরা পরিস্কার বুঝতে পারি কিভাবে তারা নিত্যনতুন পদ্ধতিতে বাজার সৃষ্টি করে চলেছে, তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে ভোক্তা সমাজের মধ্যে চাহিদা সৃষ্টি করছে। পাহাড় প্রমাণ জঞ্জাল উৎপাদন করছে ও ভোক্তা সমাজকে কনজিউম করতে একপ্রকার বাধ্য করছে। প্রকৃতি, সমাজ, কর্মজগৎ সর্বত্র পরিব্যপ্ত বিচ্ছিন্নতা মানুষের মনে সৃষ্টি করেছে শূন্যতা, তার সামাজিক চেতনা চূড়ান্ত আত্মকেন্দ্রিকতায় পর্যবসিত। এই বিষয়টি মনস্তত্ববিদ Philip Cushman ব্যাখ্য করেছেন–বর্তমান সমাজের আত্মকেন্দ্রিক ভোগসর্বস্বতার মধ্যেই তৃপ্তির সাধনার মূলে আছে একধরনের শূন্যতার অনুভূতি যা শুধু ভোগ্যপণ্যের মধ্যে দিয়েই পূরণ করতে উৎসাহিত করে। এনার্জির একটা বড় অংশ ব্যয় করতে হয় এমন সব সামগ্রী উৎপাদনে যা বাস্তবে কোনো প্রয়োজন মেটায় না। সুতরাং পরিবেশ বিপর্যয় যদি আমরা এড়িয়ে যেতে চাই তবে এই সদাপ্রসারমান অর্থনৈতিক শৃঙ্খলকে ভাঙতে হব, বাজারকে গুটিয়ে এনে সামাজিক প্রয়োজন মেটানোর উৎপাদন ব্যাবস্থা গড়ে তুলতে হবে, তাহলেই সম্ভব হবে এনার্জি কুশলতাকে ফসিল ফুয়েল রিপ্লেস করার কাজে ব্যবহার করতে।
Eco Socialism or Barbarism:
পরিবেশের সর্বাত্মক সঙ্কটের মুখে দাঁড়িয়ে আমাদের এটা পরিস্কার বুঝে নেওয়ার সময় হয়েছে “The global environment crisis is actually a global crisis of capitalism and permanent solution will not be possible so long as capital rules the earth”। বস্তুত সমস্ত উৎপাদন প্রক্রিয়াই এনার্জি নির্ভর, ভোগ্য বস্তুর উৎপাদন ও মানুষের কনজিউম প্রক্রিয়ায় বর্জ্য পদার্থ উৎপন্ন হয়, কিন্তু ক্যাপিটালিজমে এই ওয়েষ্ট ম্যানেজমেন্ট পুরোপুরি করা সম্ভব হয়না। প্রথমত অপ্রয়োজনীয় অতি উৎপাদন। দ্বিতীয়ত বর্জ্য রিসাইক্লিং প্রক্রিয়া মুনাফা দেয় না। মার্কিন প্রেসিডেন্টের জলবায়ু সঙ্কটে ব্যাবস্থা নেওয়ার অনীহা একথাই প্রমাণ করে।
কারণ এতে কর্পোরেট মুনাফা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জাপানে G-20 সামিট চলাকালীন 29.06.2019 তিনি মিথ্যা দাবি করেছিলেন আমেরিকার জল ও বায়ু বিশ্বের মধ্যে ক্লিনেষ্ট,তাই কোনো ব্যাবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন নেই। অথচ সত্যিটা হলো বিশ্বে সেই সময় আমেরিকার রাঙ্কিং ছিল 195 এর মধ্যে 123 (cleanest to dirtiest)এবং AP reported “The US ranks poorly on smoog pollution, which kills 24000 Americans per year “।
কর্পোরেট পুঁজির আগ্রাসনঃ
উপরোক্ত আলোচনা থেকে এটা স্পষ্ট যে পৃথিবী জুড়ে উষ্ণায়নের জন্য জলবায়ু সঙ্কট ও পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে মানবসমাজ। আর এর জন্য পুঁজিবাদী ব্যাবস্থাই মুলত দায়ী। আবার এটাও মনে করার সঙ্গত কারণ আছে যে সাম্প্রতিক অতীতে ও এই মুহূর্তে যে মহামারী সারা বিশ্বকে আতঙ্কিত করে রেখেছে তার সঙ্গেও এই সিস্টেমের সম্পর্ক আছে। কর্পোরেট পুঁজি আজ আক্ষরিক অর্থেই জল, স্থল, অন্তরীক্ষে সর্বত্রই হানা দিচ্ছে। মুনাফার জন্য সে ইন্ধন জোগাচ্ছে অরণ্য ধ্বংসের, আমাজনের মতো প্রাচীন অরণ্য যাকে পৃথিবীর ফুসফুস বলা হয়, জ্বালিয়ে দিচ্ছে অবলীলায়।
তেল, গ্যাসের সন্ধান চালাচ্ছে দুর্গম পর্বত, গভীর সমুদ্রের তলদেশে, এমনকি উত্তর মেরুতেও। এতে একদিকে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিঘ্নিত হচ্ছে, অন্যদিকে পুঁজি কর্তৃক প্রকৃতি বিধ্বংসী কাজের জন্য প্রাণীজগতের স্বাভাবিক বাসস্থান থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বন্যপ্রাণী, জীবজন্তু চলে আসছে লোকালয়ের কাছাকাছি। ফলে ভাইরাস,ব্যাক্টেরিয়া,প্যারাসাইট বন্যপ্রাণী থেকে গৃহপালিত পশু, মানুষের সংস্পর্শে বেশি বেশি করে আসার ফলে নতুন নতুন জুনোটিক (New Zoonotic diseases) রোগের সংক্রমণের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। কে বলতে পারে এজন্যই এত সংক্রামক রোগের বাড়াবাড়ি কিনা।
“Capitalism is a incubator for pandemic, Socialism is the solution.” -Dr. Michael Pappas.
অর্থাৎ বলা যেতে পারে মহামারী, অতিমারীর সঙ্গে পুঁজিবাদ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কে আবদ্ধ। সেটা তার প্যান্ডামিক সংক্রান্ত রাষ্ট্রিয় নীতিতে, প্রিভেনশন পরিকল্পনায়, স্বাস্থ্য ব্যাবস্থায়, অসম স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয়, তার অর্থনৈতিক মহামন্দা জনিত অনিশ্চয়তায়, সবকিছুই বিবেচনাযোগ্য। পুঁজি তার মুনাফার স্বার্থে যে বিশালাকায় পুঁজি, পণ্য, শ্রম, বাণিজ্য ইত্যাদির বিনিময়ের বিশ্বায়ন ঘটিয়েছে সেই সঙ্গে সংক্রমণেরও বিশ্বায়ন ঘটিয়েছে, স্থানীয় সংক্রমণকে সে বিশ্ব মহামারীতে পরিণত করছে। প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করা যেতে পারে Mike Davis তাঁর “The Monster at Our Door” বইটিতে বিশ্বব্যাপী বার্ড-ফ্লুর সতর্কতা দিয়েছিলেন ও বিশ্বায়িত কৃষিসংক্রান্ত ব্যবসা কিভাবে মানুষের মধ্যে “সোয়াইন-ফ্লু” প্রাদুর্ভাবের মঞ্চ প্রস্তুত করেছে।
মানুষের স্বাস্থ্য ও সামাজিক সাম্যতাঃ
অসাম্যের পুঁজিবাদী সমাজ সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষায় নিতান্তই অনিচ্ছুক। কার্যকর জন স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নির্মাণ তার এজেন্ডা হতে পারে না।
তাই বছর তিনেক আগে WHO যখন একটি নতুন প্যাথোজেনের আবির্ভাব ও Disease-x মহামারীর আশঙ্কা প্রকাশ করে সরকারি জনস্বাস্থ্য ব্যাবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিল (‘হু’-র আবেদন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ, এই কোভিড-19 বুঝি হবারই ছিল) কিন্তু কোনো সরকারই গুরুত্ব দেয় নি, পক্ষান্তরে আমেরিকা মিতব্যয়ীতার নামে বাজেট বরাদ্দ ছাঁটাই করেছিল। উপরন্তু পুঁজিবাদী সমাজ যে বৈষম্যের পাহাড় গড়ে তোলে তাতে জনস্বাস্থ্য রক্ষার ন্যুনতম পরিকাঠামো গড়ে তুলতেও সে অপারগ। সাম্প্রতিক কোভিড-19 মোকাবিলা প্রসঙ্গে চিকিৎসা বিজ্ঞান সম্মত সাবান জলে হাত ধোয়ার বিষয়টি সামনে এসেছে। দেখা যাচ্ছে ইউনিসেফের রিপোর্ট অনুযায়ী বর্তমান আর্থ-সামাজিক ব্যাবস্থায় প্রতি পাঁচ জনের দুজনের কাছে সেটা বিলাসিতা, তৃতীয় বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ স্কুলে হাত ধোয়ার পরিকাঠামোই নেই। কয়েক কিলোমিটার হেঁটে মাথায় করে খাওয়ার জল আনতে হয় যাদের তাদের বলা হচ্ছে ঘন্টায় ঘন্টায় হাত ধুতে। সামাজিক অসাম্য মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপরেও প্রভাব ফেলে। পাহাড় প্রমাণ অসাম্যের পরিবেশ মানুষের মনে ক্রনিক স্ট্রেসের সৃষ্টি করে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, ফলে সহজেই সংক্রামক রোগের সহজ শিকার হয়। বর্তমান পরিস্থিতির ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য।
Richard Wilkinson & Kate Pickett তাঁদের বই, The Spirit Level (2009)-এ দেখিয়েছেন একটা সমাজে যত সমতা বিরাজ করে সে সমাজ তত স্বাস্থ্যবান, দীর্ঘজীবী, স্বল্প শিশুমৃত্যু ও স্বাস্থ্য সূচকে উন্নত হয়।
সিস্টেম পরিবর্তন,যুব তরুণ সমাজ জাগছেঃ
এটা আমাদর কাছে মোটামুটি স্পষ্ট– পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট করা থেকে জলবায়ু সঙ্কট, সংক্রামক রোগ জীবাণুর পরিবেশে মুক্ত করে মহামারী, অতিমারী প্রাদুর্ভাবের পরিস্থিতির সৃষ্টি সবই এই সিস্টেমের অবদান। সর্বোপরি রোগ প্রতিরোধ, প্রতিকারে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে এই সিস্টেম অপ্রস্তুত বা অপারগ শুধু নয় অনিচ্ছুকও। তাই এসবকিছুর মোকাবিলায় সিস্টেমে আনতে হবে কাঙ্খিত পরিবর্তন। উৎপাদন ও বন্টন ব্যাবস্থায় আনতে হবে কার্যকরীভাবে পুর্নাঙ্গ সামাজিক নিয়ন্ত্রণ, আজকের উন্নত প্রযুক্তি দিয়ে একাজ সুষ্ঠুভাবে করা সম্ভব। সমাজ প্রাকৃতিক সম্পদকে সমাজের প্রকৃত প্রয়োজনে উৎপাদন কার্যে ব্যবহার করবে, বন্টন নির্ধারিত হবে সামাজিক সমতার ভিত্তিতে। প্রকৃতিতে ভারসাম্য ফিরে আসতে মহামারী প্রতিরোধ, প্রতিকার করতে আমাদের গতানুগতিকতার বাইরে উৎপাদন কাঠামোর পরিবর্তনের কথা ভাবতেই হবে। আজকের এই অসহনীয় অবস্থা আর যাতে ফিরে না আসে তার জন্য এছাড়া আর কোনো পথ আছে বলে মনে হয় না।
আমরা আশাবাদী। বিশ্বব্যাপী পরিবেশ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আবার তরুণ যুব সমাজ আলোড়িত হচ্ছে, সামাজিক স্থবিরতা ভাঙছে, হয়তো ঘটছে সমাজবিপ্লবের অনুঘটকের আবির্ভাব। তাই মার্ক্সের অন্তর্দৃষ্টিতে যা ধরা দিয়েছিল সেটা উল্লেখ করেই এই নিবন্ধের যবনিকা টানছি।
“…. masses of people don’t change their ideas and then change the world— they change their ideas by changing the world “.
তথ্যসূত্রঃ
1.www.commondream.org
2.Climate and capitalism
3.counterpunch.org
4.www.resilience.org
5.The Guardian
6.The Monster at our door by Mike Davis
7.Yale Environmen
লেখক পরিচিতি
বিজ্ঞান, পরিবেশ ও প্রকৃতি প্রেমী।
email : skg216abpr@gmail.com
খুব সুন্দর তথ্যভিত্তিক লেখা । বিশ্লেষণও ভারি সুন্দর । পরিবেশ আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার এই সমস্যা মোকাবিলার জন্যে ।