৭ আগষ্ট জাতীয় হস্তশিল্প দিবস। দেশের সরকার তার ৭ দিন আগে (২৭ জুলাই) গুটিয়ে দিল ‘অল ইন্ডিয়া হ্যান্ডলুম বোর্ড’।
এই সংস্থাতেই কেবলমাত্র হস্তশিল্পের সঙ্গে যুক্ত শিল্পী ও কর্মীরা নিজেদের কথা বস্ত্রশিল্প মন্ত্রকের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করতে পারতেন। সে সু্যোগ আর রইলো না। বয়ন ও অন্যান্য হস্তশিল্পের সঙ্গে যুক্ত সারা দেশের ৮৮ জন শিল্পী ব্যক্তিগত স্তরে এর সদস্য ছিলেন।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শিল্পীরা নিজেদের শৈলীর মাধ্যমে তৈরী করছেন অসাধারণ সব শিল্পকাজ। ১৯৫২ সালে তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু বিশিষ্ট শিল্পী শ্রীমতি পুপুল জয়কারকে এই শিল্পীদের সহায়তায় কী করা যায় তা নিয়ে পরিকল্পনা করতে বলেন। কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায় ছিলেন এই উদ্যোগের বিশেষ পৃষ্ঠপোষক। ৭০ বছর আগে ১৯৫২ সালে গড়ে ওঠে জাতীয় হ্যান্ডলুম বোর্ড। কেন্দ্রিয় বস্ত্রমন্ত্রী এর চেয়ারপার্সন থাকতেন এতদিন। নানা ত্রুটিবিচ্যুতির সংস্কার যখন প্রয়োজনীয় বলে ভাবা হচ্ছিল তখনই মাথা ব্যথা কমানোর জন্য মাথা কেটে ফেলার বিধান দিল দেশের সরকার।
দুষ্টলোক মন্দ কথা বলে- “এদেশের সমৃদ্ধশালী মসলিন ছিলো বিদেশি বণিকের লোভের তালিকায়। বণিকের মানদন্ড দেখা দিল রাজদণ্ড রূপে।”
এদেশের হস্তশিল্পের কদর, দেশে- বিদেশে, অনেকদিনের এবং তা বেড়েছে কয়েক দশকে । কর্পোরেট সাহায্যপ্রাপ্ত বিরাট থিম পূজো একদিকে বিভিন্ন ধরনের হুস্তশিল্পকে পরিচিত করিয়েছে। অন্যদিকে তা ছড়িয়েছে কর্পোরেট বাণিজ্যের পুতগন্ধকে। শিল্প ও শিল্পীসত্তা এখন অনেক বেশী বাজারের পণ্য, আজকের অর্থনৈতির ‘ভ্যালু এডিং চেন’ এর লক্ষ্য। বাজারের খেয়াল খুশিতে অভিভাবকত্ব চাপানোর লক্ষেই তৈরী হয়েছিলো এইসব ‘বোর্ড’ জাতিয় সংস্থা। স্পষ্টত দেশের সরকার চাইছে কর্পোরেট সংস্থাগুলোর চুড়ান্ত স্বেচ্ছাচারিতা। তাই এসব ধরনের সংস্থার পঞ্চত্বপ্রাপ্তি সাধারণ ঘটনা হয়ে উঠছে।