অতিসম্প্রতি World Wildlife Fund Living Planet Report 2020 প্রকাশিত হয়েছে । এক ভয়ানক তথ্য উঠে এসেছে এই গবেষণা থেকে। ১৯৭০ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে স্তন্যপায়ী প্রাণী-মাছ- পাখি- সরীসৃপ ও উভচর মিলে কম করে ৪,৪০০ প্রজাতি পৃথিবী থেকে ‘জাস্ট ভ্যানিশ’ হয়ে গেছে।
লাতিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে অবলুপ্তির হার অত্যন্ত অস্বাভাবিক ও উদ্বেগজনক – যা যথাক্রমে ৯৪ শতাংশ ও ৮৪ শতাংশ। ক্ষুদ্র ও বৃহৎ প্রাণের এইভাবে হারিয়ে যাওয়া মানুষ ও প্রকৃতির ভারসাম্য কেই বিঘ্নিত করবে চূড়ান্তভাবে এটা নিসন্দেহে বলা যায়।
কী বলছেন বিজ্ঞানী পরিবেশবিদরা?
অবলুপ্তির কারণ হিসেবে দায়ী করা হচ্ছে মূলত এই গ্রহের মানবজাতিকেই। উচ্চফলনশীল চাষ আবাদ, বিপুল পরিমাণে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার, অত্যধিক জলের ব্যবহার এক দিকে বাড়িয়ে তুলছে বায়ু দূষণ, জল দূষণ ও সমুদ্রের দূষণ। অন্যদিকে তা প্রাণিজগতের কাছে বয়ে আনছে এক চরম বিভীষিকা। জনসংখ্যার চাপ, অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও নগরায়নকেও কাঠ গড়ায় তুলেছেন বিজ্ঞানী গবেষক মহল। আরেকটি অন্যতম কারণ- মুষ্টিমেয় মানুষের মুনাফার লোভে বৃহৎ কৃষি- ফার্মের জন্য নির্বিচারে অরণ্য ধ্বংস, আমাজন, ইন্ন্দোনেশিয়ার বোর্নিও সহ বৃহৎ বনাঞ্চলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া অবলীলায়।
আর কতদিন চলবে এই ধ্বংসলীলা? মানব প্রজাতি সহ পুরো বাস্তুতন্ত্র, জীববৈচিত্র্য চিরতরে ধ্বংস হয়ে না পর্যন্ত মানুষের লোভ- লালসার লেলিহান শিখা জ্বলতেই থাকবে? কী ভবিষ্যত রেখে যাচ্ছি আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য? একটু ভাবুন-কিছু করুন নিজেদের ও সন্তান-সন্ততিদের মুখ চেয়ে।।