তারাশঙ্কর ভট্টাচার্য
কোন ঘটনাই আকষ্মিক বা বিচ্ছিন্নভাবে ঘটছে না । ভারতবর্ষের কৃষি আইন, নয়া জাতীয় শিক্ষা-আইন, সংশোধিত শ্রম-কোড, ন্যাশন্যাল মেডিক্যাল কাউন্সিল, EIA-Act 2020, জঙ্গলের অধিকার আইন সংস্কার , RTI-Act সংস্কার যাবতীয় যা কিছু আইনের সংস্কার NDA সরকারের আমলে হয়েছে এবং সেই সাথে বেলাগাম বেসরকারিকরণ , বিলগ্নিকরণ এবং কর্ম সংকোচন যেভাবে ঘটে চলেছে তা পরিকল্পিত।
একচেটিয়া পুঁজিবাদের সঙ্কট:
পুঁজিবাদ বিকাশের এমন এক পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে যেখানে একচেটিয়া প্রতিযোগিতার কারণে প্রযুক্তির অভাবনীয় বিকাশ ঘটাতে হয়েছে । এর ফলে শ্রমজীবী মানুষের কায়িক ও মানসিক শ্রমের উপযোগিতা কমে এসেছে । আমরা জানি মানুষের শ্রমই কেবল উদ্বৃত্ত মূল্যের মাধ্যমে পুঁজির যোগান দেয় । বাজারে পণ্যের অসম বিনিময় এবং প্রাকৃতিক সম্পদ পুঁজিকে রক্ষা করতে পারে সাময়িক কিন্তু তা দিয়ে পুঁজির শ্রীবৃদ্ধি ঘটেনা । শ্রম ক্রমশঃ অপাঙক্তেয় হয়ে যেতে থাকায় এবং বাজারে প্রভূত মজুত পণ্য “রিয়েলাইজেশানের” অভাবে এবং তৎসহ পুঁজির নিবেশ ঘটাবার ক্ষেত্র সংকুচিত হওয়ার ফলে পুঁজিবাদ গভীর সংকটে পড়েছে । আমাজন, গুগল (আলফাবেটস), মাইক্রোসফট, অ্যাপল , ইলন মাস্ক ইত্যাদি ইত্যাদি “ গিগ ক্যাপিটালিস্ট “ ( বৃহৎ পুঁজি ) এদের সাথে দক্ষিণ এশিয়া , আফ্রিকা , সৌদি-আরব, কুয়েত এসব দেশের “ক্রোণি ক্যাপিটালিস্টবর্গ” (রাষ্ট্রের আনুকূল্য নির্ভর দালাল পুঁজিবাদী গোষ্ঠী যারা বৃহৎ একচেটিয়া পুঁজির সাথে যুক্ত হয়ে বিশ্ববাণিজ্য ক্ষেত্রে একচেটিয়াকরণকে গতিশীল করে তুলছে।
সংস্কারের অন্তরালে “বিশ্ব-বাণিজ্য সংস্থা”
১৯৪৭ সালে বিশ্ব শুল্ক বাণিজ্যের প্রয়োজনে গঠিত হয় গ্যাট (GATT) নামে একটি সংস্থা । ২৩টি দেশের মধ্যে ভারত হল এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। এর উদ্দেশ্য ছিল আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংরক্ষণ বিরোধী আইন তৈরি , আমদানি শুল্ক হ্রাস এবং বৈদেশিক বাণিজ্যে যুক্ত দেশ গুলির আচরণে বৈষম্য দূর করা। ১৯৮৬ সালে উরুগুয়েতে একটি বৈঠকে খসড়া চুক্তির বয়ান তৈরি হয় যার নাম ডাংকেল প্রস্তাব। ১৯৯৪ সালে গ্যাটের ম্যারাকেশ চুক্তির মাধ্যমে ১৯৯৫ সালে গঠিত হয় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থা WTO.
এই WTO র উদ্দেশ্য ছিল কৃষিতে আভ্যন্তরীন ভর্তুকি বাদ দিয়ে বাণিজ্যিক রপ্তানিতে ভর্তুকি ও শুল্ক কমিয়ে আনা। কিন্তু উন্নত বিশ্বগুলি কোনভাবেই তাদের কৃষিজ ফসলের ভর্তুকি এবং রপ্তানি শুল্ক কমাতে রাজি হয়নি । এই সংকটের চাপ গিয়ে পড়ল অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশের উপর। আজকের ভারতের কৃষি-আইন তারই পরিপ্রেক্ষিতে রচিত। ভারতের কৃষি রপ্তানি থেকে বৈদেশিক আয় যেখানে ১১ শতাংশ সেখানে কৃষি সহায়তায় বাজেট মোট জিডিপির ০.৩ শতাংশ। ফলে আগামীদিনে MSP সহ কৃষিজ সকল রকম ভর্তুকি এবং সহায়তা কমিয়ে দেওয়া হবে। কৃষিজ ফসলের সহায়কমূল্য যে তুলে দেওয়া হবে ,গণবন্টনব্যবস্থা যে তুলে দেওয়া হবে তা বোঝা যায় FCI কে রুগ্ন করে দেওয়ার চক্রান্ত করার মধ্যে দিয়ে । সবুজ বিপ্লবের সুযোগকে কাজে লাগাবার জন্য ১৯৬৫ সালে FCI গঠন করা হয় । কালোবাজারির আশঙ্কাকে দূর করার জন্য “অত্যাবশ্যক পণ্য আইন” দিয়ে মজুতদারিকে নিয়ন্ত্রণ করা হল এবং সরকারি মজুতদারি ব্যবস্থাকে জোরদার করার মাধ্যমে “গণ-বন্টন ব্যবস্থা”কে খাদ্যাভাব দূর করার কাজে লাগানো হল । এরপর কৃষির “কর্পোরেটাইজেসন”কে জায়গা করে দেওয়ার জন্যে FCI কে ঋণগ্রস্ত করে তোলা হল । ১৯৬৫ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত যেখানে FCI এর ঋণের পরিমাণ ছিল ৯১৪০৯ কোটি টাকা, ২০১৯ সালের মার্চে সেটা দাঁড়ায় ২.৬৫ লক্ষ কোটি টাকায় এবং এখন সেটা ৩.৮১ লক্ষ কোটি। অর্থাৎ FCI কে লাটে উঠিয়ে দেওয়ার পাকা বন্দোবস্ত করা । গত ৩/৪ বছর ধরে ফুড কর্পোরেশন অর্থের অভাবে আদানির গোডাউনে এমএসপি দেওয়া ফসল বিক্রি করে দিত । ২০১২ সাল থেকে বিল গেটসের নেতৃত্বে ভারতীয় কৃষির সম্পূর্ন “কর্পোরেটাইজেসনে”র প্রক্রিয়া গতি পেতে শুরু করল। মাইক্রোসফটের মালিক বিল গেটসের প্রতিষ্ঠান “বিল এন্ড মিলিন্ডা গেট ফাউন্ডেশান” কৃষি আইনের এই ড্রাফটিংটা করে দিয়েছে । যেমনভাবে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৪৮ সালে আমেরিকার রকফেলার ফাউন্ডেশান, ফোর্ড ফাউন্ডেশান , ম্যাশাচুয়েটস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি ( MIT) ভারতের কৃষি ব্যবস্থার ড্রাফটিংটা বানিয়ে দিয়েছিল ।
কৃষি ব্যবস্থা কোন পথে?
২০১৯ সালের ১৯শে নভেম্বর থেকে ২২শে নভেম্বরে দিল্লিতে কৃষি পরিসংখ্যান বিষয়ক গ্লোবাল কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয় , যার খবর অনেকের কাছেই নেই । মাইক্রোসফটের মালিক বিল গেটস প্রধান বক্তা ছিলেন এই সম্মেলনের । এই কনফারেন্সে জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থা , ভারতের কৃষি মন্ত্রণালয়, কৃষি সংস্থা (FAO), মার্কিন কৃষি বিভাগ, বিশ্বব্যাংক, মিলিন্ডা এবং গেটস ফাউন্ডেশন সকলে মিলে কৃষির “কর্পোরেটাইজেসন” বিষয়ে কিছু পরিকল্পনা গ্রহন করে। বিল গেটস ফাউন্ডেশনের কৌশল এখন দক্ষিণ এশিয়ায় বহুজাতিক কোম্পানির সাম্রাজ্য বৃদ্ধি করছে, ২০১২ সাল থেকে ভারতে এটি চেষ্টা করে চলেছে বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন সিইও জেফ এক্স এর নেতৃত্বে ।
এতদিন কৃষি-কর্পোরেটগণ বাগিচা ফসল বাজারজাত করে মুনাফার পাহাড় গড়েছে । আপেল , কমলালেবু, ভ্যানিলা , ভুট্টা , চেরি , স্ট্রবেরি , মাখনা, আম ইত্যাদি নানাবিধ ফসল আন্তর্জাতিক বাজারে হাজির করেছে । এরও আগে কৃষিতে উল্লেখযোগ্য অর্থকরী ফসল ছিল যেমন তুলা , রেশম , পশম , রাবার, সিঙ্কোনা, চা, বিভিন্ন ঔষধি ফসল। এসব ফসলের একচেটিয়াকরণ ঘটায় মনস্যান্টো , পেপসিকো , নেসলে ,সিজেন্টা এবং কারগিলের মত বহুজাতিক খাদ্য কোম্পানিগুলি। এসব ব্যবসায়িক সংস্থার একচেটিয়া সম্পৃক্তির আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় বিশ্ব-বাণিজ্য সংস্থার (WTO) নেতৃত্বে বিশ্বের কৃষিক্ষেত্রে পুঁজির নিবেশ ঘটাবার পরিকল্পনা নেওয়া হয় ।
এই কাজটি বাধাহীন ভাবে শুরু হয় আফ্রিকায় । আফ্রিকা ,দঃ এশিয়ায় কয়েক বছর আগে থেকে আদানি কোম্পানি প্রচুর কৃষি গুদাম বানিয়ে রেখেছে । আদানি কোম্পানি গুদামজাত কৃষি-ফসলের বাজার-ওঠা-নামার সুযোগ নিয়ে ফাটকাবাজারি কালোবাজারি করে, কখনো এশিয়ায় ,কখনো আফ্রিকায় । ইউরোপ আমেরিকা জাপান ইত্যাদি দেশে কৃষি ফসলের ব্যয়ভার অত্যধিক বেশী হওয়ার কারণে, সস্তা শ্রমের দেশ দক্ষিন এশিয়া , আফ্রিকার মতো দেশে ফসল উৎপন্ন করে উন্নত দেশে বিপণন করার মাধ্যমে কৃষি-পণ্যের উদ্বৃত্তমূল্য আহরণ করার পরিকল্পনা গ্রহন করে । এভাবেই “ভ্যাল্যু অ্যাডেড চেন” সিস্টেমে সস্তা শ্রমকে কাজে লাগিয়ে উন্নত দেশে বাজারজাত করে পুঁজি তার মুনাফার পাহাড় গড়ে ।
সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে কৃষক শুনানি
তিন সপ্তাহ আগে, প্রধান বিচারপতি অরবিন্দ বোবডে শুনানিতে বলেছিলেন যে আমরা কৃষি আইনের অচলাবস্থা সমাধানের জন্য, কৃষি বিশেষজ্ঞ ও কৃষক ইউনিয়নগুলিকে নিয়ে সুষ্ঠ ও স্বতন্ত্র প্যানেল গঠনের কথা বিবেচনা করছি। এই প্যানেলে পি সাইনাথ , দেবিন্দর কুমার শর্মার মতো লোকদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে , তা সত্বেও তাঁরা কমিটিতে নেই । এটা কার ইশারায় ? ইতিমধ্যেই কৃষক সংগঠনগুলি সুপ্রীম কোর্টের কমিটি বয়কটের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে। কমিটির চারজনের মধ্যে একজন ভুপিন্দর সিং মান, কমিটি থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত বলেছেন -যে চারজনকে নিয়ে কমিটি হয়েছে ভূপিন্দর সিং মান তার মধ্যে প্রথম নাম , যিনি বিগত ২৫ বছর ধরে আমেরিকান বহুজাতিক কোম্পানির হয়ে ওকালতি করছেন, তিনি ভারতীয় চাষির হয়ে সুপ্রীম কোর্টের কাছে কী সুপারিশ করবেন ? ড. প্রমোদ কুমার জোশীর প্রোফাইল দেখলে বুঝবেন, কৃষির সঙ্গে সম্পর্কিত বৈশ্বিক সংস্থাগুলোতে জোশিজীর উপস্থিতি অব্যাহত রয়েছে ।
মহারাষ্ট্রের কৃষক সংগঠন, যার সভাপতি অনিল ধনওয়াত এই কমিটিতে যুক্ত। যিনি ভারতীয় কৃষিতে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির জিন মডিফায়েড বীজের ব্যবহার নিয়ে সুপারিশ করেছেন অনেক আগেই ।
কৃষি অর্থনীতিবিদ নামে পরিচিত চতুর্থ সদস্য অশোক গুলাটি ক্রমাগত কৃষিতে খোলা বাজার নীতির পক্ষে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকায় কলম ধরে চলেছেন ।
আসলে বিজেপির কৃষক সমিতির কাছে এরা শুনানি গ্রহন করে যে রায় দেবেন , তা সরকারের আইনকেই মান্যতা দেবে চোখ বন্ধ করেই বোঝা যায় । তাই অবস্থানরত চাষীরা এই কমিটিকে বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে আন্দোলন অব্যাহত রাখার সঙ্গত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ।
পুঁজিবাদী কৃষিব্যবস্থা “প্রাকৃতিক বিপাকীয় ফাটল” বাড়াবে
কৃষিতে উন্নত যন্ত্রপাতির ব্যবহার , কেমিক্যাল প্রয়োগ ,সিনথেটিক উপায়ে ফসল বৃদ্ধি , মডিফায়েড বীজের ব্যবহার , ভৌমজল ব্যবহার করে মাটির নীচে আর্সেনিক দূষণ ঘটানো , জমির উর্বরতা নষ্ট করে ফেলা , সহজলভ্য উপায়ে ক্যানেলের মাধ্যমে নদীনালা, পুকুর, দিঘীর জল, চাষে ব্যবহার না করার ফলে, খরা-বন্যার পরিস্থিতি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনিতেই শিল্পবিপ্লবের ফলে বিশ্ব-উষ্ণায়ন এতখানিই বেড়ে গেছে যে, বিশ্বের বিজ্ঞানীকুল আশঙ্কা করছেন কয়েক বছরের মধ্যেই পৃথিবী ধ্বংসের মুখে পড়বে । তাই পুঁজিবাদের নির্মম এই প্রকৃতি-ধ্বংসলীলা অবিলম্বে বন্ধ করতে হলে পুঁজির একচেটিয়া প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে হবে। শিল্প-পুঁজির বিকাশ একটি স্যাচুরেশান পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। সফটওয়্যার ও ইন্টারনেট সংযোগ করে, পুঁজিবাদী ব্যবস্থা, জ্ঞানকে বাণিজ্যের বিষয় করে তুলেছে । একে ঘিরেই বৃহৎ পুঁজির পাহাড় গড়ে উঠছে । আজকের যুগে শিল্প-পুঁজিকে রিপ্লেস করে unequal exchange এর মাধ্যমে মুনাফা বাড়াতে চাইছে একচেটিয়া পুঁজিবাদ । শিল্প-পুঁজির নিয়ন্ত্রন কেড়ে নিয়ে, ফিন্যান্স পুঁজিকে সাথে নিয়ে ডেটা-নির্ভর বিশ্বজোড়া ইন্টারনেট-মাধ্যম বাণিজ্য-অর্থনীতি গড়ে তুলেছে একচেটিয়া পুঁজিবাদ, যার নতুন অর্থনৈতিক পরিভাষা “প্ল্যাটফর্ম ক্যাপিটালিজম”। তাই “আত্মনির্ভরতার” কথা উঠে আসছে। ছাত্র ,শ্রমিক ,কৃষক ,ক্ষুদ্র মাঝারি ব্যবসায়ি উৎপাদন করবে ঘরে ঘরে, আর আমাজন ফ্লিপকার্ট ,নেসলে, ফিউচার, কার্গিল ,পেপসিকো ,আম্বানি , আদানি তাদের ছাপ মেরে নিজেদের মাল বলে বাজারজাত করবে । একদিকে যান্ত্রিক সভ্যতা আপনার কাজ কেড়ে নেবে অথবা নামমাত্র মূল্যে পারিশ্রমিক দেবে। আগামি দিন কিন্তু ভয়ঙ্কর । আসুন আমরা সবাই ভাবি
-কিভাবে এই ভয়ংকর পরিস্থিতির পরিবর্তন করা যায়। এক্ষেত্রে কর্পোরেটদের বিরুদ্ধে কৃষকদের অনড় ও তীব্র আন্দোলন নিশ্চিত করে আমাদের পথ দেখাবে।
লেখক পরিচিতি:
লেখক-নাট্যকর্মী , পরিবেশবাদী। ই-মেইল tarash01@gmail.com
তারাশংকর বাবু, আপনার লেখার সাথে অনেকটাই মিলে যাচ্ছে যে ভারত সরকার যেভাবে গোটা ভারত জুড়ে NRC/NPR ইত্যাদিকরতে চাইছে তাতে ঐ ক্রোনি ক্যাপিটালিজমের ভারতীয় সংস্করণকে সস্তা শ্রমিক যোগান দেওয়ার চেষ্টা অনেকটাই স্পষ্ট হচ্ছে! তবে প্রথম দিকে বোধহয় এর যাঁতাকলে পড়বে বাংলাদেশী উদ্বাস্তুরা, পরে এদেশের নিম্নবর্গের লোকেরা! আপনারা যদি এটি সহজবোধ্য রূপে এই ম্যাগাজিনে প্রকাশ করতে পারেন, যেখানে এর সাথে কৃষি আইনের যোগ রয়েছে, তাহলে অনেকেই তা জনসাধারনের মধ্যে তুলে ধরতে পারে… ধন্যবাদসহ তাপস মুখোপাধ্যায়(মানবাধিকার কর্মী)…
খুব যুক্তিযুক্ত মতামত দিয়েছেন। মূলতই শ্রমকে শোষণ করার জন্যেই কর্পোরেট স্বার্থে এত সব আইন সংস্কার। ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরী, ওপেন এয়ার জেল বানানো বা আমাজন ফ্লিপকার্ট জাতীয় প্ল্যাটফর্ম ক্যাপিটালিজম এর দ্বারা বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের সস্তাশ্রম লুট করে একচেটিয়া পুঁজির পাহাড় গড়ে তোলা এটাই মূল উদ্দেশ্য। লিখব এ ব্যাপারে সহজ করে তাপসবাবু।