সীমান্তে বেজে উঠেছে যুদ্ধের দামামা

পোস্টটি দেখেছেন: 32 #সীমান্তে বেজে উঠেছে যুদ্ধের দামামা# কোরোনা বিপর্যয়- তার সমাধানে ব্যর্থতা-লকডাউন- পরিযায়ী শ্রমিক-অর্থনীতি ভেঙে পড়া- নতুন করে কোটি কোটি মানুষ দারিদ্র সীমার নীচে চলে যাওয়া, এইসব নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার অনেকটাই টালমাটাল হয়ে পড়ে, পাশপাশি সরকার গুলোর বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ বিক্ষোভ বাড়ছিল। কিন্তু সব ব্যর্থতা, ক্ষোভ মনে হয় আরো একবার হারিয়ে যাবে চীন সীমান্তে […]

#সীমান্তে বেজে উঠেছে যুদ্ধের দামামা#

কোরোনা বিপর্যয়- তার সমাধানে ব্যর্থতা-লকডাউন- পরিযায়ী শ্রমিক-অর্থনীতি ভেঙে পড়া- নতুন করে কোটি কোটি মানুষ দারিদ্র সীমার নীচে চলে যাওয়া, এইসব নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার অনেকটাই টালমাটাল হয়ে পড়ে, পাশপাশি সরকার গুলোর বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ বিক্ষোভ বাড়ছিল। কিন্তু সব ব্যর্থতা, ক্ষোভ মনে হয় আরো একবার হারিয়ে যাবে চীন সীমান্তে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা শুরু হয়ে যাওয়ায়। মিডিয়া, সেনাবাহিনীর প্রাক্তন জওয়ান জেনারেল মেজর সহ রাজ নৈতিক দলগুলো দামামা বাজিয়ে দিয়েছে, ঢাল তরোয়াল নিয়ে মাঠ গরম করতে শুরু করে দিয়েছে। সবাই বদলা চাইছে।
অন্যদিকে চিনা সরকারও তাদের দেশের সঙ্কট জনিত মানুষের অসন্তোষকে ঘুরিয়ে দিতে সীমান্তে যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে দিয়েছে। দুই মহান শক্তিধর দেশ নাকি হাতাহাতি কুস্তাকুস্তি তে ব্যস্ত।
সব ব্যর্থতা, ক্ষোভ বিক্ষোভ , মানুষের অসন্তোষ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে ভক্তরা তো বাজার গরম করতে নেমে পড়েছে। চীনের বিরুদ্ধে একটা সার্জিক্যাল স্ত্রাইক হয়ে যাবে নাকি- ভক্তরা কি বলেন? নাকি জয় শ্রীরাম শ্লোগান, দেশপ্রেম, চীনা পণ্যের বয়কটের আওয়াজে দেশ মাতবে? চিনকে কম্যুইনিস্ট বলে গালি দিয়ে কম্যুইনিজমের বিরুদ্ধে আবার সবাই রে রে করে উঠবে?
আচ্ছা অন্য ভাবে কি ভাবা যায় না?
সব অস্ত্র তৈরির কারখানাগুলো বন্ধ করে ও সীমান্তগুলো তুলে দিলে কোন দেশের কোন খেটে খাওয়া সাধারন মানুষেরই কিছু যায় আসে না। ট্রিলিয়ন ডলারের যুদ্ধাস্ত্র তৈরি ও তার বাজার বন্ধ করে স্বাস্থ্য শিক্ষা খাদ্যের জন্য খরচ করলে, বিশ্ববাসির কল্যাণে ব্যবহার করলে তো সব দেশের সব মানুষের জীবন যাপন কিছুটা ভদ্রস্থ হয়।
আমরা তো দেখলাম- ভাইরাস জনিত মহামারী সামলাতে বা বিপর্যস্ত প্রকৃতি পরিবেশকে মেরামত করতে ট্যাঙ্ক কামান মিসাইল কোন কাজে আসে নি, এইসব দিয়ে তো মানুষের পেট ভরে না।
#মানুষ যখন খাদ্য বস্ত্রের দাবীতে সংঘবদ্ধ হয়, তখনই সীমান্তে বেজে উঠে যুদ্ধের দামামা – এই পুরনো কথাগুলো বড়ো সত্যি হয়ে দেখা দেয়#

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top