হুগলীর একটি জুটমিলে গত বছর রামনবমীর দিনে মিছিল করা নিয়ে সংঘপরিবারের উস্কানিতে একটি পাড়াতে উত্তেজনা ছড়ায়। তারপরে প্রায় দিন দশেকের মত কারখানা বন্ধ থাকে। কার্ফু জারী থাকে। শ্রমিকরা রাতপাহারা জারী রাখে। হিন্দু পাড়াতে হিন্দুরা। মুসলিম পাড়াতে মুসলিমরা। একটা প্রশ্ন চেনাজানা শ্রমিকদের করা হয়েছিল, আপনারা কি এটা ভেবে দেখেছিলেন, যে উদ্বাগের সাথে আপনারা নিজের ধর্মের পাড়াটাকে সামলেছিলেন, সেই একই উদ্বেগ আপনার পাশের পাড়ার অন্য ধর্মের শ্রমিকটির মধ্যেও ছিল। আপনারা এভাবে নিজেদের সন্দেহ করলে, অবিশ্বাস করলে — আসলে আপনারা কোনটা খোয়াচ্ছেন ? এক শ্রমিক জবাব দিয়েছিলেন আমাদের একতা। এটা নষ্ট করার জন্যই তো মালিকদের দলগুলোর এত উস্কানি।ঐদিন এটা দুচারজন শ্রমিকদের কথা ছিল।
আজকে মহাবীর জয়ন্তী। আজকেও ঐ অঞ্চলে ভালোই উত্তেজনা। কিন্তু একজন শ্রমিক ফোন করে জানালেন, “এবারে আমরা নিজেরা ঠিক করে নিয়েছি, শ্রমিক মহল্লায় কাউকে কোন গন্ডগোল পাকাতে দেব না। সবাই মিলে পাহারা দিচ্ছি, যাতে বাইরের কেউ কোন গন্ডগোল পাকাতে না পারে।” শ্রমিকরা কিন্তু একবছরের মধ্যে একটা গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা নিয়ে নিলেন। আপনি কি করবেন
বন্ধু প্রতিম রণজিৎ চক্রবর্তী র ওয়াল থেকে।২৯.০৩.১৮