<স্টিফেন হকিং-এর লাঠির গুঁতো>
২০১৫ সাল। গাজায় তখন ইস্রায়েল অনবরত বোমা ঢেলে চলেছে। ঘর বাড়ি স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ হাসপাতাল ভেঙে চলেছে ইচ্ছে মতো। আমেরিকান খুঁটির জোরে সারা বিশ্বজনমতকে পরোয়া না করে। সেই সময় জেরুসালেম বিশ্ববিদ্যালয়ে হতে চলেছিল মহাবিশ্বতত্ত্বের উপর এক বিশ্ব সম্মেলন। প্রধান অতিথি এক চক্র-কুর্সি সমারূঢ় শ্রেষ্ঠাঙ্গ বিজ্ঞানী। তিনি বলে বসলেন, আমি জেরুসালেম যাচ্ছি না। ঐ অসভ্য দেশের বিজ্ঞান নিয়ে সম্মেলন করার কোনো অধিকার নেই।
স্পেন থেকে যাঁদের আসার কথা ছিল, তাঁরা বললেন, তাহলে আমরাও আর যাব না। ফ্রান্সের বিজ্ঞানীরা জানালেন, তাঁদেরও ওই অসভ্যতার পীঠস্থানে যাওয়ার ইচ্ছে হচ্ছে না। হল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা একই সুর ধরলেন। তারপর সুইডেন নরওয়ে। তারপর ব্রাজিল, পেরু, আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো, কানাডার বিজ্ঞানীরা। [একমাত্র ভারতীয় বিজ্ঞানীরা বসে ছিলেন, হইলেই যাইব — ভেবে।] অবশেষে আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রের কসমোলজিস্টরা বললেন, আমরাও ওই পাষণ্ডদের আমন্ত্রণ গ্রহণ করে একই লজ্জা অনুভব করছি। কিন্তু যেতে পারছি না।
জেরুসালেম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠক বিজ্ঞানীরা বললেন, বিশ্বের সামনে আমাদেরও মুখ দেখানোর উপায় নেই। কেউ না এলেই ভালো হয়। আমরা রাস্তায় নেমে বরং কালিপটকা উৎসব করব!
দুটি জিনিস বন্ধ হল।
প্রথমে সেই কসমোলজি বিশ্বসম্মেলন।
তারপর গাজায় ইস্রায়েলের বোমাবাজি।
সৌঃ– এক সর্বাঙ্গ পঙ্গু বিজ্ঞানী।
বন্ধুপ্রতিম অশোক মুখোপাধ্যায়ের ওয়াল থেকে কপি করা ।
নীতিশিবক্ষাঃ– “আমি আর একাকী কতটুকু করতে পারি” — জীবনে কখনও বলবেন না!